রাহিন হোসেন রায়হান, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মারজিয়ার বিরুদ্ধে নবজাতক শিশু হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে, ভুক্তভোগী পরিবার বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট এক অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর ২০২২ দিবাগত রাত্রে একটার সময় প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সাতানি পাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার কন্যা পুরভী বেগম কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স মারজিয়া ও অপরিচিত একটা মহিলা হাসপাতাল গেটে তাদের দাঁড় করায় এবং বলে হাসপাতালে তো এখন ডিউটিরত ডাক্তার নাই তাই তারা নিজেরাই নরমাল ডেলিভারি করার আশ্বাস দিয়ে হাসপাতালের পাশে তার নিজ বাসায় নিয়ে যায়। এই সময় সন্তান প্রসবা পূরভী বেগমের পরিবারের নিকট থেকে ডেলিভারি করা বাবদ ৩৫০০ টাকা ও ওষুধ খরচ বাবদ ২২০০ টাকা আদায় করে নেয়। পরবর্তীতে বাচ্চা প্রসব করানোর সময় নার্স মারজিয়া রোগীর পেটে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ ও আঘাত করে এবং চড় থাপ্পড় গালিগালাজ করতে থাকে অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীর মা হাসপাতালে নিতে বলে কিন্তু সেটাতে রাজি হয়নি নার্স মারজিয়া পরে রোগী মৃত বাচ্চা প্রসব করলে তখন নার্স মারজিয়া তাদের সাথে অসৎ আচরণ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় পরে পুরভী বেগম অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা নিয়ে পুরভীর বাবা হানিফ মিয়া গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেয় নার্স মারজিয়ার বিরুদ্ধে।
হানিফ মিয়ার অভিযোগ, তাদের সাথে প্রতারণা করে হাসপাতাল গেইট থেকে তাদের ভুল বুঝিয়ে তার বাসায় নিয়ে যায়। তার কন্যা পুরভী বেগম ভুল চিকিৎসার শিকার। তাদের সাথে নার্স মারজিয়া খারাপ আচরণ করেছে। মারজিয়ার অবহেলার কারণে পুরভী বেগমের পেটে তার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর সিভিল সার্জন ডক্টর প্রণয় কান্তি দাস বলেন, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্স মার্জিয়ার বদলির কথা ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে, বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মারজিয়া বলেন, আমি এ ঘটনা কিছুই জানিনা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে চিনি না গত মাসের ৮ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত আমার বাসায় কোন ডেলিভারি হয় নাই। এগুলো আমার উপর মিথ্যা দোষারোপ ছাড়া আর কিছুই না। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এইদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকায় কিছু কুচক্রী ও প্রভাবশালী মহল থানা সাংবাদিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে। ঘটনাটি আসলে ন্যায়বিচার পাবে কিনা এ বিষয়ে বেশ সন্দেহ দেখা দিয়েছে।