বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে যদি কেউ বিয়ে না করেন তাহলে তাকে ‘ধর্ষক’ বলা যায় না বলে রায় দিয়েছে ভারতের ওড়িশা হাইকোর্ট। রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি জানিয়েছেন, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বললে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অপব্যাখ্যা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযুক্ত, নিমাপডাবাসী এক নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অভিযোগ তারপর আচমকাই সেই ব্যক্তি বেপাত্তা হয়ে যায়।

অভিযোগকারী ওই নারী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ সেই ব্যক্তিকে আটক করে ধর্ষণের মামলা রুজু করে। অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই অভিযুক্ত হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়।
বিচারপতি তার রায়ের ব্যাখ্যায় আরও জানান, এই বিষয়ে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট।

ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনটিকে কোনও সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়। বিশেষ করে একজন মহিলা যখন সম্পূর্ণ নিজের পছন্দে কোনও সম্পর্কে প্রবেশ করেন।
একইসঙ্গে তিনি জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরুষদের লালসার শিকার হন গ্রামের দরিদ্র অংশের নারীরা। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন প্রায়শই তাদের দুর্দশা দূর করতে ব্যর্থ হয়।

এই পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়ে আদালত তাকে তদন্তে সহযোগিতা করার এবং অভিযোগকারীকে কোনওরকম ভীতি প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।
সূত্র : দ্য ওয়াল ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version