দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

সোহাগ ইসলাম, নীলফামারী: শীতের তীব্রতা বেড়েছে উত্তরের হিমালয় ঘেঁষা জেলা নীলফামারীতে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে চরাঞ্চল মানুষের কষ্ট।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর ) সকাল ৬টায় জেলার ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পরেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষরা। ঘন কুয়াশা তীব্র শীতে কাজে বের হতে পারছে না দিনমজুর, রিকশাচালকসহ অন্যান্য নিম্ন আয়ের মানুষরা। এতে কষ্টে দিন পার করছে তারা। ভিড় জমেছে গরম কাপড়ের দোকানে।

অন্যদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে আন্তঃবিভাগে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ মানুষ সেবা নেন হাসপাতালগুলোর ইমারজেন্সিসহ অন্যান্য বিভাগে। এছাড়াও নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শীত জনিত কারণে জেলার ছয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ২০-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন চিকিৎসার জন্য।

ডিমলা চাপানী তিস্তা পাড়ের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েকদিন থেকে এই এলাকায় শীত বাড়ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকে। কাজে বের হতে পারি না। এ সময় ভুট্টার কাজ সেটাও করতে পারছি না।

জলঢাকা এলাকার রিকশাচালক উসমান গনি বলেন, রিকশা চালিয়ে খাই। কিন্তু যে ঠান্ডা কিভাবে চলা যায়। সকালে কুয়াশার জন্য মানুষ বের হয় না। আর দুপুর হলে তো গাড়ির অভাব নাই রিকশায় মানুষ উঠে না।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করীম বলেন, শীতার্ত মানুষদের জন্য প্রথম চাহিদায় আমরা ৩১ হাজার ৫০০ কম্বল পেয়েছি, তা উপজেলাগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার ৬৪ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে, সেগুলো আসলে ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version