দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

বরগুনা আমতলী উপজেলায় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ অবস্থায় দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি স্থানীয়দের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০২০ সালের জুন মাসে বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঘোপখালী খালে ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেকে এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ২৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩২ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

কার্যাদেশে ব্রীজের দুই প্রান্তে এক’শ ফুট সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। মূল ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হলেও গত দেড় বছর ধরে কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় উভয় পাড়ের বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে মাচা তৈরি করে চলাচল করছে।

স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, “সড়ক নির্মাণের জায়গা না রেখেই ব্রীজের প্লান করা হয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন ঠিকাদার কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে ব্রীজ ফেলে রেখেছেন।”
পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী বলেন, “গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় ব্রিজে উঠতে আমারই খুব কষ্ট হয়। আর যারা বুড়া মানুষ তাদের তো আরও বেশি কষ্ট।”

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসা. সোহেলী পারভীন মালা বলেন, সরকার ব্রীজ নির্মাণ করে মানুষের উপকারার্থে কিন্তু এখন এ ব্রীজ মানুষের কোন কাজে আসছে না। ঠিকাদারকে বারবার বলা সত্বেও তিনি ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছেন না। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। দ্রুত সেতুটির দুই পারে দ্রুত মাটি ভরাট করে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি জানান তিনি।

সেতুর সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ হচ্ছে না জানতে চাইলে কেকে এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ব্রীজটি কার্যাদেশের চেয়ে উচ্চতায় বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সংযোগ সড়কের স্লাপ নির্মাণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও অল্প দিনের মধ্যেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করবো।

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রীয় মুখার্জি বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিদাকার মূল ব্রীজ নির্মাণ শেষে দুই কোটি টাকা বিল নিয়েছেন। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছেও না বিলও নিচ্ছে না। কাজ না করে দীর্ঘদিন ফেলে রেখেছেন।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version