মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকারের আমলে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা হেডকোয়ার্টার-খাসেরহাট জিসি সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৬৮৬.৭৫ মিটার দীর্ঘ “শেখ লুৎফর রহমান সেতু” নির্মান হয়। নির্মানের দের বছরের মাথায় ৭৬টি সোলারের মধ্য ৭৫টি অকেজো সোলার বাতি। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা তাছাড়া চোর ডাকাতের আতঙ্কে সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও এলাকাবাসী। শুধু তাই নয় সেতুর দুই পাশের ঢাল বেশ উচু হওয়ায় সন্ধ্যার পড়ে আলো নিভে গেলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রান চায় দুই পাড়ের হাজারো মানুষ। কয়েক বছরে আগেও ট্রলার যোগে নদীপাড় হয়ে কালকিনি উপজেলায় আসতে হত খাসেরহাট, বাশগাড়ি ও লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ কয়েক লক্ষ বাসিন্দাদের। পরে ৮৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলে সুফল পায় সাধারন মানুষ। এ সেতুটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধিনে নির্মান করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্ট ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স লিঃ। উপজেলার মধ্যে সেতুটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় দুর দুরন্ত থেকে আগত দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় হত এক সময়, বাতিগুলো নষ্ট থাকায় আগের মত নেই দর্শনার্থী ভীড় দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন কালকিনি হয়ে শরীয়তপুর জেলায় বিভিন্ন যানবাহনসহ কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করলেও দিনের আলো ফুরিয়ে গেলেই অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে যায় পুরো সেতু। সেতু উদ্বোধনের পরে যাত্রী ও পথচারীর অন্ধকার লাগবের জন্য ৭৬ টি সোলার বাতি স্থাপন করে সেতু নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। ১১ অক্টোবর ২০১৮ সালে উদ্বোধনের দেড় বছরের মাথায় সোলার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায় এতে করে চরম অন্ধকারে ভোগান্তিতে পড়ে নানান শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষ। আলো না থাকায় সন্ধ্যার পরে সেতুর উপরে হরহামেসায় চলে মাদক দ্রব্য সেবন, ছিনতাই, মেয়েদের ইভ টিচিং সহ নানান ধরনের অপরাধ মূলক কাজ, এ যেনো দেখার কেউ নেই। কয়েক বার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও বিষয়টি তারা কোন আমলে নিচ্ছে না। প্রায় আড়াই বছরে ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে সোলার বাতি গুলো, দাবি দুই পাড়ের চলাচল করা পথচারীদের। দ্রুত এর সমাধান চান তারা। সেতু ঘুরতে আসা মিন্টু বেপারী বলেন, সেতুতে কোনো লাইট নেই। ফলে সেতুর উপরে হরহামেসায় চলে মাদক দ্রব্য সেবন, ছিনতাই, মেয়েদের ইভ টিচিং সহ নানান ধরনের অপরাধ মূলক কাজ। এ যেনো দেখার কেউ নেই। তাই সন্ধার আগেই চলে যাচ্ছি। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, এর পূর্বেও আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছিল আমরা ইতিমধ্যে আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সাপোর্টেট রুরাল ব্রিজ প্রোগ্রাম নামক কর্মসূচি থেকে ব্রিজের লাইট ও অন্যান্য মেইনটেন্যান্সের ব্যাপারে আমাদের স্কিম ডিপিপি ভুক্ত হয়েছে এবং হেটকোয়াটার্স থেকে অনুমোদন হলে খুব শিঘ্রই টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে আমরা এর সমাধান করবো। এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, সেতুতে সোলার বাতি গুলো সংস্কার করা সম্ভব নয় ,অতি দ্রুত রিপ্লেসমেন্ট করবো সে বিষয়ে ইস্টিমেট করেছি। প্রকল্পটি পাশ হলেই আশা করি অতিদ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।