শেখ জহিরুল ইসলামঃ নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি ফাযিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের নিয়ম নীতি না মেনেই জালিয়াতি মাধ্যমে নাটকীয় পরীক্ষার সাজানোর অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৫ নং গাংগাইল ইউনিয়নের নিভিয়াঘাটা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শূন্য পদ পুরনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপে ব্যাপক অনিয়ম করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, (২৮ শে জুলাই) বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের শূন্য পদ পুরনের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করেছেন মোট ১০ জন এর মধ্যে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে এক জনকে কমিটি আগেই অযোগ্য ঘোষণা করেছেন, টিকেছেন ৯ জন তাদের মধ্যে দুই জনের অধ্যক্ষ পদের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে এর মধ্যে একজন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পানান ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রভাষক মো:আবদুল জলিল এমপিও কপি অনুযায়ী প্রভাষক, প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হলে সহকারী অধ্যাপক পদে কমপক্ষে ০৩(তিন) বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রভাষক থেকে এই পদে আবেদন করার নিয়ম না থাকলেও তিনি পেয়েছেন ইন্টারভিউ কার্ড। আরেকজন মোঃ খলিলুর রহমান তিনি (নন এমপিও)ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক অর্থাৎ আলিম পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত আর আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ব্যতীত অন্য কেহ আবেদন করতে পারবে না, দেখা যায় পিতাম্মারপাড়া হোসাইনীয়া ফাজিল মাদ্রাসা স্তরের এমপিও ভুক্ত হয়েছে মে মাস ২০২০ সালে তিনিও পেলেন ইন্টারভিউ কার্ড অথচ এই ২জনের অধ্যক্ষ পদে আবেদন করার মত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা নেই। নীতিমালা অনুসারে দেখা যায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮/ (২৩ নভেম্বর ২০২০) পর্যন্ত সংশোধিত নীতিমালা উপাধ্যক্ষ/মুহাদ্দিস/মুফাসসির/ফকিহ/আদিব/সহকারী অধ্যাপক পদে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং প্রভাষক পদে আরবি বিষয় সমূহে কামিল/ফাযিল মাদ্রাসায় ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু আবেদনকারী আবদুল জলিল ও মোঃ খলিলুর রহমানের উল্লেখিত অভিজ্ঞতা নেই। সেই সাথে আরেক জন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পানান ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আজিজুল ইসলাম উক্ত মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদের জন্য নানা ভাবে তদতীর ও লবিং চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন পরিদর্শন করে জানা যায় জেনতেন ভাবে একটি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য মাদ্রাসার বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রহিম উনার অবৈধ প্যানেল ঠিক রাখার জন্য তাদেরকে বৈধতা দেন। সেই সাথে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে ৩১/০৭/২০২২ তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানা যায়, ৯ জন আবেদনকারীর নামে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করেছন। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রহিমের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, নিভিয়াঘাটা ফাযিল মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দ অধ্যক্ষ পদের জন্য সকল আবেদনকারীর যথাযথ যোগ্যতা আছে কিনা বিষয়টি জরুরী তদন্ত করার প্রয়োজন একই সাথে ২৮ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জোর দাবী জানান।