স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের বছর যেতে না যেতেই শ্বাশুরিকে নিয়ে পলায়ন করেন মেয়ের জামাই। এ ঘটনার ১১ বছর এবং শ্বাশুরি মতি মিয়ার দায়ের করা মামলায় রায়ের নয় বছর আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়াতুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা-পুলিশ। তিনি দেড় বছরের সাজায় নয় বছর পালিয়ে ছিলেন। তবে মামলা বাদী মতি মিয়া বর্তমানে মৃত।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরের দিকে গ্রেফতারকৃত আয়াতুলকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এরআগে গত রবিবার রাত ৯টার দিকে তাকে জেলার আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটক করে।
আয়াতুল মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে। তিন মাসের মতো সংসার শেষে শ্বাশুরি নাসরিনের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আয়াতুলের। আয়াতুল ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরি করেন। পরে কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রথম স্ত্রী মরিয়ম (নাসরিনের মেয়ে) বর্তমানে দেশের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।
মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমতাজ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যে জানাতে পারি আয়াতুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করেন ও আটপাড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে এএসআই এমরুল রশিদসহ আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি দেড় বছরের সাজায় নয় বছর পালিয়ে ছিলেন।
তিনি আরো জানান, ২০১০ সালের দিকে আয়াতুল তাদের গ্রামে মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেন। বিয়ের একবছর যেতে না যেতেই তার শ্বাশুরি নাসরিনকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মতি মিয়া ২০১১ সালে দায়ের করা মামলায় ২০১৩ সালে আয়াতুলকে দেড় বছরের কারাদন্ড ও একই সাথে দুই হাজার টাকা জরিমানা প্রদান এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেন আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আজ (সোমবার) দুপুরের দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।