রক্তের গ্রুপ প্রধানত ৪টি- ও, এ, বি ও এবি। রক্তের গ্রুপ বাবা-মায়ে কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়। রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হবে না কি নেগেটিভ, তা নির্ভর করে লোহিত রক্তকণিকায় প্রোটিনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির কারণে।
রক্তকণিকায় প্রোটিনের উপস্থিতি থাকলে রক্তের গ্রুপ হবে পজিটিভ। আর রক্তে প্রোটিন না থাকলে রক্তের গ্রুপ হবে নেগেটিভ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’,তারা হলেন সর্বজনীন দাতা। ‘এবি’ রক্তের গ্রুপের মানুষেরা সর্বগ্রহীত।
তবে সম্প্রতি এমন একটি নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের রক্ত মিলেছে যাকে এ, বি, ও কিংবা এবি কোনো গ্রুপের মধ্যেই ফেলা যাচ্ছে না। তাই এই রক্তের গ্রুপকে বলা হচ্ছে ইউনিক ব্লাড গ্রুপ।
সম্প্রতি এই বিরল রক্তের গ্রুপের খোঁজ মিলেছে ৬৫ বছর বয়সী ভারতের গুজরাটের এক অধিবাসীর মধ্যে। তিনি একজন হৃদরোগী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই গ্রুপের রক্ত নাকি ভারতে এবারই মিলেছে কারও শরীরে।
আসলে ব্লাড গ্রুপকে ২৪ ধরনের সিস্টেম অনুযায়ী ভাগ করা যায়। এছাড়া ৩৭৫ ধরনের অ্যান্টিজেন আছে রক্তে। এরমধ্যে ইএমএম সবচেয়ে বেশি। এটাই হলো স্বাভাবিক অবস্থা।
তবে বিশ্বে মাত্র ১০ জনের শরীরে এই ইএমএম হাই ফ্রিকোয়েন্স অ্যান্টিজেন অবর্তমান। এ কারণেই তাদের রক্তের গ্রুপ বিরল। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্যিই যে, বিরল এই নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষগুলো কারো থেকে রক্ত নিতেও পারেন না, এমনকি কাউকে রক্ত দিতে পারেন না।
জানা গেছে, পুরো পৃথিবীতে মাত্র ৯ জনের শরীরে অতীতে মিলেছিল এই রক্তের গ্রুপ। তবে ৬৫ বছর বয়সী গুজরাটের ওই মানুষটিকে ধরলে ১০ জন হয়। পুরো বিশ্বে মাত্র ১০ জনের শরীরে মিলেছে বিরল এই রক্ত।
সবার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার গায়ে একটি বিশেষ প্রোটিন থাকে। তবে এই বিরল রক্তের গ্রুপে সেই প্রোটিন থাকে অনুপস্থিত। আর এ কারণেই এই মানুষগুলোকে আমাদের থেকে আলাদা করে দেয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া