টানা চতুর্থ বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেই খবর অনেকটাই পুরোনো। কিন্তু কাগজে-কলমে সেটি পূর্ণতা পেল গতকাল শনিবার। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় সাফের কংগ্রেস। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাফের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি। এই মেয়াদে ২০২৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন সালাউদ্দিন।কংগ্রেসে অংশ নেয়নি ভারত ও পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কেউই। যদিও কিছুদিন আগেই ফিফার নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপের কারণে ভারত আছে ফিফার পর্যবেক্ষণে। কংগ্রেসের আগে অনুষ্টিত হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক। যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালে অনুষ্ঠিত হবে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। ৫-১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় গড়াবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ।
বরাবরের মতো এবারও সাফের সভাপতি হয়ে সালাউদ্দিনের কণ্ঠে সেই একই প্রতিশ্রুতি। সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজনের পরিকল্পনায় এগোচ্ছেন তারা। যেখানে অংশ নেবে দক্ষিণ এশিয়ার বড় বড় ক্লাবগুলো। সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবলীয় অঞ্চল নই। তবে এই অঞ্চলে খেলাটিকে এগিয়ে নিতে আমাদের পরিবার হয়ে কাজ করতে হবে। আমি যখন ২০০৯ সালে প্রথম নির্বাচিত হই, তখন আমাদের শুধু পুরুষদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট ছিল, তবে এখন পর্যন্ত আমরা ২৭টি টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেছি। এটাই দেখায় যে বছরের পর বছর ধরে কতটা উন্নতি করেছি আমরা।’
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘আমরা একটা পরিকল্পনা করেছি। এখন থেকে এক বছর হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, পরের বছর হবে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ।’
কংগ্রেস হলেও সাফের সহসভাপতি পদে দুইটি ও নির্বাহী কমিটির সদস্যে দুটি পদ এখনো ফাকাই রয়েছে। আগামী বছর কংগ্রেসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন, ‘ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের ফেডারেশনের সমস্যার কারণে পদ দুটি শূন্য। পরের কংগ্রেসে এ বিষয়ে ফয়সালা হবে।’
২০০৯ সালে প্রথম সাফের সভাপতি হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। ১৩ বছরের মেয়াদে তার অধীনে ৬টি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ৫টি সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, ৬টি অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ চ্যাম্পিয়নশিপ, ৩টি অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, ৪টি অনূর্ধ্ব-১৭, ১৮ পুরুষ চ্যাম্পিয়ন শিপ ও ৩টি অনূর্ধ্ব-১৮,১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।