পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: বাড়ীর উঠানে প্রবাসী স্বামীর লাশ দেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ স্ত্রীর মৃত্যু, মায়ের মৃত্যু দেখে বড় ছেলেও স্ট্রোক করেন। বড় ছেলেকে হাসপাতালে রেখেই স্বজনেরা বাবার লাশের দাফন সম্পন্ন করেন। ছেলে একটু সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এসে সম্পন্ন করা হয় মায়ের দাফন।মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২২ জুন প্রবাসী জামাল উদ্দিন মালদ্বীপে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নানা চেষ্টা-তদবিরের পর মঙ্গলবার রাত ৯টায় লাশ চর কালীদাস গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। স্বামীর লাশ বাড়িতে পৌঁছার পর তা দেখে নির্বাক হয়ে যান স্ত্রী খোদেজা বেগম। পাঁচ মিনিট পরই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান স্ত্রী। মায়ের মৃত্যুর পর স্ট্রোক করেন তাঁদের বড় ছেলে আজাহার (১৮)। স্থানীয় ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন টিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, প্রবাস থেকে জামাল উদ্দিনের লাশ বাড়ি পৌঁছানোর খবরে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হয়। নিহত স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে ও বড় ছেলে আজাহারকে হাসপাতালে ভর্তির পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামালের লাশ দাফন করা হয়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের কয়েক বছর পর পরিবারের সচ্ছলতার আশায় ১৪ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমান জামাল উদ্দিন। এরই মধ্যে তিন-চারবার ছুটিতে বাড়িতে এসে ঘুরে যান। তাঁর স্ত্রী খোদেজা বেগম বড় ছেলে আজাহার (১৮) ও ছোট ছেলে হৃদয়কে (১৪) নিয়ে গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। ছেলে আজহার এবার ফেনী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থী ও পাশাপাশি ফেনী ক্রিকেট একাডেমির ছাত্র। ছোট ছেলে হৃদয় স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এদিকে বুধবার (২৮ জুন) বেলা ১১টায় একই কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে স্ত্রী খোদেজা বেগমকেও কবর দেওয়া হয়। এ সময় স্বজনদের সঙ্গে দুই ছেলেও মায়ের জানাজায় অংশ নেন।