তাসলিমুল হাসান সিয়াম গাইবান্ধা প্রতিনিধি: উজানের নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-ঘাঘটসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্য বেশকিছু নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। গতকাল রোববার (১৯ জুন) বিকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানিয়েছে, ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদে ১৮ সেন্টিমিটার, করতোয়া ১৪৭ সেন্টিমিটার, ও তিস্তা নদীর পানি ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা যায়, গাইবান্ধার তিনটি উপজেলার আংশিক এলাকায় বন্যার প্রভাব পড়েছে। সদরের মোল্লাচর, কুন্দেরপাড়া, কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া, উড়িয়া ইউনিয়নসহ এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এছাড়া রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও কিছু সংখ্যাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি জমেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদীতীরের মানুষেরা। নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে কেউ কেউ আশ্রয় নিতে শুরু করছে অন্যত্র। পানির চাপে কয়েকটি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।বিদ্যমান পরিস্থির শিকার পরিবারগুলোতে বিশুদ্ধ পানিসহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা এখনো পায়নি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, নদ-নদী ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা ও ভাঙন কবলিত স্থানগুলো চিহ্নিত করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান জানান, পানিবন্দী ও ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।