একদিকে আগুন অন্যদিকে পানি কেমন আছে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ এর ছোট পরিচয় দিয়ে শুরু করা যাক,
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। সবুজের সমরাহে, নদীর উজানে, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সন্ধ্যা সমর বাংলাদেশ। এদেশে প্রান্ত থেকে প্রান্তরে, দীক থেকে দিগন্তে রয়েছে অনাবিল সৌন্দর্য আর প্রাকৃতিক সম্পদের অটালিকা। এক লক্ষ্য সাতচল্লিশ হাজার বর্গমাইল এই দেশটাকে রয়েছে সাগর, মহাসার। নদী নালা,খাল বিল হাওর বাওর এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং পাখপাখালি, রয়েছে বিভিন্ন ধর্মের, বর্নের এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ। কেউবা শ্রমিক, কেউবা রাজনৈতিবীদ, আবার কেউ বা রয়েছে শিল্পপতি।আরো আছে কত শিল্প কারখানা রয়েছে বানিজ্যক পোট এবং দেশ বিদেশে সাথে কত সংযোগ! রয়েছে বড় বড় পাহাড় যেমন :আকাশ ছোয়া চিম্বুক, কেউকেরাডঙ্গ আরো কত কিছু আছে সাজেকের মেঘের মেলা এই তো সব মিলিয়ে বাংলাদেশ।
কবির ভাষায় বলে চাই,,,,
“নদীর জলের সঙ্গে মানুষের রক্ত মিশে আছে,
হিজল গাছের ছায়া বিপ্লবের সমান বয়সী
রূপসী নারীর চুল ফূল নয়,
গুচ্ছ গুচ্ছ শোকের প্রতীক,
এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখোনি তুমি”
এখন মুল আলোচনায় শুরু করা যাক,
একদিকে আগুন অন্যদিকে পানি কেমন আছে বাংলাদেশ!
প্রতিবছর উত্তর অঞ্চল সহ সারা বাংলাদেশ বন্যার কারনে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপযত হচ্ছে। এর কি কোন সমাধান আছে আপনার কাছে? কি ভাবছেন আপনি? আপনি কেমন দেখছেন বাংলাদেশকে? কেমন আছে বাংলাদেশ? এমন নানান প্রশ্ন মানুষের মাঝে প্রতিনিয়ত উকি দিতে থাকে।ছোট, মাঝারি, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে আপনার জনসাধারণের প্রশ্ন এর কি উত্তর আছে আপনার কাছে!
কখনো আগুন, কখনো বন্যা,কখনো কালবৈশাখী, কখনো মহামারির, কখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সব মিলিয়ে কেমন কাটছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন সেটা হয়তো সবাই এতোদিনে বুঝে গেছেন সবাই। খুব বেশি ভালো আছে বলে আমি অনুভব করছি না।আপনি!
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মেগা প্রকল্প, বড় বড় কল কারখানা, রাস্তা ঘাট বিজ্র উন্নত থেকে হচ্ছে উন্নতর। পাল্লা দিচ্ছে প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বের দরবারে। সেটালাইট, ডোরন,কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে আজ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
খুদামুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ তাও কেন জানি বার বার একটি প্রশ্ন হৃদয়ের ভিতর উকি দিতে থাকে আজও ভালো নেই বাংলাদেশ! আপনার ও কি এমন মনে হয়!
বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান আজ ১৯৭১ সালের থেকেও অনেক বেশি উন্নত। অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। এখন প্রযুক্তির কল্যানে মানুষ ঘরে বসে সব কিছু প্রয়োজন মিটাতে পারছে।বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সাথে চাইলেই মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারছে। যেটা আগে মানুষ পায়ে হেটে কয়েক বছর ধরে যেতে হতো। মাঝে মাঝে কেউ বা আবার প্রিয়জনের দেখার আগে ক্লান্ত হয়ে পরলোকগমন করত। তাই তো বলতে হতো,,,”শেষ না করেই হয়ে গেল জীবন এর শেষ ”
এখন চিন্তা করুন তো কত উন্নত বাংলাদেশ! তবুও কেন আজ প্লাবিত বাংলাদেশ!
এ প্রশ্নের উওর হয়বো বা আপনাদের সবার ই জানা! কথায় আছে না,,, “অতি ভক্তি চোরের লক্ষন ” আমি বলছি না এই কারনে আজ প্লাবিত বাংলাদেশ তবে ধারনা করছি হলেও হতে পারে এমন টা কারন। সেটা না হয় আপনারা চিন্তা করে দেখেন!
প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো প্রযুক্তি কি আজ নাই এই প্লাবিত বাংলাদেশ কে! আমার ছোট মনে প্রশ্ন আপনাদের কাছে? এতো সব প্রযুক্তি আছে তবে এটার কেন নাই! কেন প্রতি বছর এই অসয্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে মানুষের! কেন প্রান হারাতে হবে এভাবে জনসাধারণের? এক বার ও কি প্রশ্ন জাগে আপনার মনে আমি ধারনা করছি না প্রশ্ন জাগে না আপনাদের মনে যদি জাগতো তাহলে হয়তো বা কিছুটা হলেও এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা যেত। “নিজে ভালো থাকার মধ্যে কি সব সার্থকতা নিহিত”!
প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলা করার সামার্থ্য আমাদের নেই এটা না হয় অকপটে শিকার করলাম। কিন্তু এটা প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পযাপ্ত উপডোকন কি ৫০ বছরে যোগান দিতে পেরেছে বাংলাদেশ? আপনার কি মনে হয়!
শুধুমাত্র বন্যা নয় আরো কতকিছু ঘটছে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে,,,,কখনও আগুন, কখনও পাহাড় ঢশ,কখনও লঞ্চ ডুবি,আর রোড এক্সিডেন্ট মিছিল তো এখন অনেক লম্বা থেকে লম্বা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এবার আসুন একটু অন্য দিকে যাওয়া যাক,মানবিক বিকারগস্ত কারন যদি চিন্তা করেন তাহলে দেখেন তো একটি,
প্রতিনিয়ত ধর্ষন,চাঁদাবাজি, লুট,ঘুষ,ডিভোর্স, কত কিছু ঘটছে বাংলাদেশে। তাহলে এখন আপনারই বলেন, কেমন আছে বাংলাদেশ!
এখন আসুন সাহায্য সঙ্গা দেওয়া যাক! বাংলাদেশ তো এখন মধ্যম আয়ের দেশ কিন্তু এগুলো কাদের সাহায্যে কারনে হলো জানতে ইচ্ছে করে! উত্তর টা স্বাভাবিক ভাবে যাদের জানা নাই তাদের তো জানতে ইচ্ছে করবেই। এখন তাহলে বলা যাক,যেমন ধরেন আমাদের বন্ধু দেশ থেকে শুরু করা যাক,তারা সেই ১৯৭১ সালের মুক্তি যোদ্ধা থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিনিয়ত সাহায্য করেই যাচ্ছে। যেমন কখনও তিস্তার পানি দিয়ে, কখনও টাকার মান কমিয়ে, কখনও পেঁয়াজ দিয়ে, মাঝে মাঝে একটু দন্ত লাগার কারনে হয়তো বা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষিদেরকে মারে, বর্ডার এর মানুষদের কে জীবন দিতে হয়। তাতে আর কি বলেন,”যে ছেলের আয় খেতে হয় তার তো একটু সহ্য করা যায় ” কি বলেন আপনারা? আমি ও তো সেটাই বলি।
পরিশেষে বলতে চাই মন,,,,
“স্বাধীন হয়েও আজ হয়লো আর আমার এ মন স্বাধীন
সবকিছু কিছু থাকার পরেও আজ যেন নেই কোন কিছু ”
আসুন আমরা সবাই মিলে উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা চালায় কেমন আছে বাংলাদেশ।
মো: হোসাইন আলী।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, মাস্টার্স
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।