বর্ষা প্রবেশ করলেও বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, হাঁসফাঁস গরমে ভুগতে হবে অন্তত আরও তিন-চার দিন। এই সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে একমাত্র সঙ্গী শরবত। গরমে কোল্ড ড্রিঙ্কস বা বাজারজাত জ্যুস থেকে বিরত থাকার পরামর্শই দেন বিশেশজ্ঞরা। এতে যে পরিমাণ শর্করা মেশানো থাকে তা শরীরের পক্ষে একদমই ভালো নয়। তাই এই সময়টা বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় বিভিন্ন শরবত।
এই শরবতগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ঘোল। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে বরফ ঠান্ডা ঘোলে একটা চুমুক দিলেই শুধু শরীর নয়, মনও জুড়িয়ে যায় নিমেষে। বাংলার সাবেকি শরবত হল গন্ধরাজ ঘোল। এর স্বাদ যেমন অসাধারণ, গন্ধও তেমনই অনন্য। গন্ধরাজ ঘোলের প্রাণভোমরা হল গন্ধরাজ লেবু। এটাই পানীয়তে অন্য মাত্রা যোগ করে। দেশের একমাত্র পূর্বাঞ্চলেই গন্ধরাজ লেবু পাওয়া যায়। পাতি লেবু বা কাগজি লেবুর থেকে এতে ভিটামিন সি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।গ্রীষ্মের দুপুরে বাংলার প্রায় প্রতি বাড়িতেই তৈরি হয় গন্ধরাজ ঘোল। গন্ধরাজ লেবুর সঙ্গে তাজা ঘোল, মশলা এবং বিভিন্ন ভেষজ মিশিয়ে তৈরি এই পানীয় এককথায় লা-জবাব। গ্রীষ্মের মরসুমে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, ঠাণ্ডা মশলা এবং ভেষজ উপাদানে ভরপুর এই পানীয়ের কোনও বিকল্প নেই।
গন্ধরাজ ঘোল তৈরি করতে যা লাগবে: ২ কাপ দই, ১ কাপ কুচো বরফ, ২ টেবিল চামচ চিনি, আধ চা চামচ আদা, আধ কাপ গন্ধরাজ লেবুর রস, ৫ টা গন্ধরাজ লেবুর পাতা কুচি, ২ টেবিল চামচ বিট নুন।
গন্ধরাজ ঘোল তৈরির পদ্ধতি: একটি পাত্রে ঠান্ডা জল, দই, চিনি, বিট নুন, আদা একসঙ্গে মিক্সিতে মিশিয়ে ভালো করে গুঁড়িয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। দই এবং চিনি যেন জলে একেবারে মিশে যায়। এ বার এই শরবতে গন্ধরাজ লেবুর রস খুব ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে উপর থেকে গন্ধরাজ লেবুর পাতা কুচি দিয়ে ঢেকে দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। খাওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে বার করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে গন্ধরাজ লেবুর ঘোল। পরিবেশনের আগে ঘোলের উপর টুকরো করে কাটা কাজু বাদাম, পেস্তা দিয়ে গার্নিশ করে দেওয়া যায়।