কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
সারাদেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অভিযান পরিচালনা করছে সিভিল সার্জন। এসময় অভিযানে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও স্বাস্থ্যসেবাসহ ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ১ টি ক্লিনিকে সতর্ক করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম।
শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম।
এসময় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন, কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদারসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে কুমারখালী হাসপাতাল সংলগ্ন প্রতীক আধুনিক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রদীপ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার, শিমুল ডেন্টাল কেয়ার, কুমারখালী ডায়াবেটিক সমিতি বন্ধের নির্দেশ ও নোভা ক্লিনিককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল নির্দেশনা মেনে চালাতে সতর্ক করা হয়েছ।
পরে কুষ্টিয়ায় আরেক উপজেলা খোকসায় ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জন এবং অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আমরা পরিদর্শন করছি। এর মধ্যে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং যারা তাদের প্রতিষ্ঠান চালাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শর্ত মানেননি তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি।
মন্ত্রণালয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক বন্ধের যে নির্দেশনা সেটাই বাস্তবায়ন করছেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, আসলে বিষয়টা এমন নয় আমরা নিয়মিতই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক পরিদর্শন করি। এর সাথে সেই নির্দেশনারও বাস্তবায়ন করছি। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই চেষ্টা করছি জেলার যে সকল ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে চলছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।