রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দুই দিন ধরে সংঘর্ষের পর এখন অনেকটা শান্ত আছে পরিবেশ। নতুন করে যেন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য বুধবার সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বেশি থাকলেও এখন সেই সংখ্যাটা তুলনামূলক কম।

বুধবার সকালে ঢাকা কলেজের অদূরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে পুলিশের বিপুল উপস্থিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে- তারা হল ছেড়ে যাবেন না। সেজন্য এখনো তারা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন।

এদিকে গতকালের মতো আজও উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। আন্দোলনের দানা বাঁধছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। ছাত্রদের ওপর ব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে তারা আজ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপত হয়। শুরুর দিকে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হিসেবে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে খাবারের বিল না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হলেও পরে জানা যায় ভিন্ন তথ্য।

দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে পরে জানা যায়। একটি দোকানের হয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে দুই দিন ধরে উত্তাল থাকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত হন। নিহত হন নাহিদ হাসান নামে এক পথচারী।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ সংলগ্ন মিরপুর সড়ক গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন বন্ধ ছিল। এতে তীব্র যানজট দেখা দেয় রাজধানীর অন্য সড়কগুলোতে।

ধবার সরেজমিনে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কেউ হল ছাড়েননি। তবে গত দুই দিনের আন্দোলনে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের সেবা করছেন রুমমেট ও হলের ছাত্ররা।

ওবাইদুর সাইদ নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের অনেক বন্ধু অসুস্থ। আমরা হল ছেড়ে যাব না। এর সমাধান প্রয়োজন।’

এদিকে গতকালের মতো আজও বন্ধ রয়েছে নিউমার্কেট সহ আশপাশের সব দোকান। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এসব এলাকায় কোনো দোকান খোলেনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version