আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে বসছে বিশ্বকাপ ফুটবলের লড়াই। কিন্তু এই সময়ে কাতারে আসা নিষিদ্ধ হতে পারে ইসরায়েলের নাগরিকরা। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তাদের আসতে দিতে চায় না ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা।
ইতিধ্যে প্রায় ১৫ হাজারের মতো ইসরায়েলের নাগরিক বিশ্বকাপ দেখার টিকিট কেটেছেন। স্পোর্টস ট্যুরিজম অ্যাজেন্সিগুলোর ধারণা, অন্তত ২৫-৩০ হাজার নাগরিক দেশটি থেকে টুর্নামেন্টের সময় কাতারে ভ্রমণ করতে পারেন। তাদের আসতে দেওয়া হবে কি না এই বিষয়ে আগামী সপ্তাহে জরুরি মিটিং ডেকেছে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যমে জানায়, কাতারে দেশটির নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি বাড়ছে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ইসরায়েল করতে পারবে না। কারণ কাতারের সঙ্গে তেল আবিবের কোনো রকম কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কাতারকে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাসের সমর্থক হিসেবে দেখছে তারা। বিশ্বকাপে ইরানের নাগরিকদের আধিপত্যও নিরাপত্তা হুমকি বাড়াচ্ছে ইসরায়েলিদের।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিবেচনায় কোনো চুক্তি না হলে, কাতার ভ্রমণ এড়ানোর সুপারিশ থাকতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও কাতারের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব কম হওয়ায় ইরান তার লাখ লাখ নাগরিককে বিশ্বকাপ দেখার জন্য পাঠাবে। এই কারণে ‘অনেক প্রতিকূল উপাদানের’ কাছাকাছি এলাকায় থাকা ইসরায়েলিদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় দল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি এবার। শেষবার মেক্সিকোতে ১৯৭০ সালে অংশগ্রহণ করেছিল তারা।