চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল লিভারপুল। খেলার শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিয়ে ৩-১ গোলে বেনফিকা উড়িয়ে দেয় সালারা। ম্যাচ শুরুর সপ্তদশ মিনিটে মেলে সাফল্য। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে ছয় গজ বক্সের মুখে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান ফরাসি ডিফেন্ডার কোনাতে। লিভারপুলের হয়ে তার প্রথম গোলটি এলো ইউরোপ সেরার মঞ্চে।
৩৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে হেডে মানেকে দেন দিয়াস। কাছ থেকে সহজেই বাকিটা সারেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সালাহ। মাঝমাঠ থেকে অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। ওয়ান-অন-ওয়ানে তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে লিভারপুল। প্রতিপক্ষের পাস ডি-বক্সে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কোনাতে। তার পেছনেই থাকা দারউইন নুনেস বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান।
৬০তম মিনিটে আবার বিপদে পড়তে বসেছিল সফরকারীরা। বেনফিকার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভেরতনের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তার স্বদেশি গোলরক্ষক আলিসন। পাঁচ মিনির পর লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের চ্যালেঞ্জে ডি-বক্সে নুনেস পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে স্বাগতিকরা, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।৮০তম মিনিটে এই অর্ধে প্রথম ভালো সুযোগ পায় লিভারপুল। জর্ডান হেন্ডারসনের পাসে ডি-বক্সে বল পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দিয়াস। দিয়াসই নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে দারুণ গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন। কেইতার থ্রু বল ধরে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। আগামী বুধবার অ্যানফিল্ডে হবে শেষ আটের ফিরতি লেগ।