দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

এম এইচ রনি, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:

নীলফামারী সদর কচুকাটা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে চাড়াল কাঠা নদী। সেই নদী খননকৃত বালু ইজারা নেওয়ার নামে ফসলি ও ব্যক্তি মালিকানা জমি কেটে বালু উত্তলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর কন্সট্রাকশনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কচুকাটা মৌজাস্থ চাড়াল কাঠা নদীর তীরবর্তী বালু স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর ইন্সট্রাকশন ইজারা নিয়ে খনন করা বালু নিয়ে যায়। মুল সীমানার বালু নিয়ে যাওয়া শেষে কয়েকদিন পরে ওই বালুর তৎসংলগ্ন চার ফসলি জমির মাটি কাটা শুরু করে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা বার বার বাধা প্রদান করার পরেও মাটি কেটে বালু উত্তলন অব্যাহত রাখলে কোন উপায় না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নীলফামারী বরাবর অভিযোগ পত্র প্রদান করে স্থানীয়রা। তবে অভিযোগ প্রদান করেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাজ্জাদ আলী বলেন, যখন নদী খনন করে আমরা আমাদের ফসলি জমি ভাঙ্গন থেকে বাচানোর জন্য আলু সহ জমি ছেড়ে দেই। কিন্তু এখন ক্ষমতার জোরে অবেধ্য ভাবে তারা আমাদের আবাদি জমিনকেটে নিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে নদীর ভাঙন তার উপর এই অত্যাচার। আমরা পথে বসে যাচ্ছি। ষাটোর্ধ আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বাবা আমার ছেলে মেয়ে নাই। স্বামীও চলতে পায়না। ওই টুকু জমি আবাদ করে চলি সেটুকুও নিয়ে গেলো আমার। হাতে পায়ে ধরছি তাও কেউ দয়া করছেনা। এখন ভিক্ষা ছাড়া কোন উপায় নাই।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর কন্সট্রাকশনের মালিক আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সৈয়দপুর ডিভিশিনের নির্বাহী প্রকোশলী কমল কৃষ্ণ রায় জানান, গভীর করে খনন করা বা ফসলি জমি কাটার কোন অনুমোদন নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে অভিযোগ সত্যি হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version