ট্যুরিজম একটি দেশের প্রাণ। পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। এ জন্য এই খাতকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এই দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলোর কোনো প্রচার এবং প্রসারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য সময় এসেছে পর্যটন খাতকে আরও প্রশস্ত করার।
এই খাতকে নিয়ে নতুন কিছু ভাবতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, বিকল্প কিছু তৈরি করা না গেলে বাংলাদেশের পর্যটন খাত এগিয়ে যাবে না। শুধু সংবাদপত্র পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, বাকি সব প্রতিষ্ঠান কাজ না করে চুপ করে থাকবে এমন করার সুযোগ নেই। সবার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন সময়ে প্রচার পাওয়া পর্যটন খাতগুলোর পাশাপাশি নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আলোচনায় এনে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বনজ সম্পদ রক্ষায় প্রাইভেট সেক্টরগুলো অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু বন, পাহাড়ি নদী পর্যটনের প্রোডাক্ট নয়, কোনো একটি নিভৃত অঞ্চলের কোনো মানুষের মুখের হাসিটিও পর্যটনের প্রোডাক্ট হতে পারে।
এ সময় পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে এটিকে সেবা শিল্পখাত হিসেবে দ্রুত ঘোষণার দাবিও জানান তারা।
পরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের পর্যটন বিষয়ে লেখনীর মাধ্যমে অবদান রাখায় সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইস্তিয়াক রেজা, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই হোটেল মোটেল রিসোর্ট অ্যান্ড গেস্ট হাউজের কো-চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন টিপু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জহির উদ্দিন আরিফ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জিয়াউল হক হাওলাদার ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান শাওন প্রমুখ।