গত ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে হেসে খেলে হারানোর পর আজ ভোরে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। স্তাদিও মনুমেন্টাল বাঙ্কো পিচিনচায় প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল লিওনেল মেসির দলই। কিন্তু বিধি বাম, যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে গোল হজম করে বসে আলবিসিলেস্তেরা। ফলে পয়েন্ট ভাগাভগি করেই সন্তুষ্ট মাঠ থাকতে হয় মেসি-মারিয়াদের।
এদিন ছন্দময় ফুটবল উপহার দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে ১-১ গোলে ড্র করে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়েছে তারা।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার সামনে আসে প্রথম সুযোগ। বক্সের বাম পাশ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাসে প্রথম দফায় বল-পায়ের সংযোগ ঘটাতে না পারলেও দ্বিতীয় দফায় ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান আলভারেস। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ০-১ তে।
৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে রদ্রিগো ডি পলের ক্রসে হেড করলেও ইকুয়েডর গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি নিকলাস অটামেন্ডি। স্বাগতিক ইকুয়েডরও মিস করেছে গোলের সুযোগ। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ফুলব্যাক পেরভিস এস্তুপিনান। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় ইকুয়েডর। ৬২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরোয়ার্ড আনহেল মেনার বুলেট শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তবে মাঠে হঠাৎই সৃষ্টি হয় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। খেলোয়াড়রা জড়িয়ে পড়েন বাক-বিতণ্ডায়। দুই দলের দুই খেলোয়াড় অটামেন্ডি ও এস্ত্রাদা দেখেন হলুদ কার্ড। সাইডলাইন থেকে জড়িয়ে পড়ায় কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিও।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে জয় যখন কড়া নাড়ছে আর্জেন্টিনার দরজায়, তখনই দেখা মেলে নাটকীয়তার। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটের মাথায় ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্সিয়ার স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি, কিন্তু বল গ্রিপ করতে পারেননি। বল পেয়ে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেন্সিয়া। এতে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় মেসিদের বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ।
এই ড্রয়ে ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৬ ড্রয় নিয়ে ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে স্কালোনির দল আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।