একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল এবং খান রোকনুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।এর আগে, গত সোমবার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০০৯ সালে সাতক্ষীরায় আবদুল খালেকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতনসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন চারজন। মামলার দুই আসামি আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান বিচার চলাকালে মারা যান।
দুই আসামির মধ্যে আব্দুল খালেক মণ্ডল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। একাত্তরে খালেক মণ্ডল ছিলেন সাতক্ষীরায় রাজকার বাহিনীর সংগঠক, আর রোকনুজ্জামান ছিলেন ওই বাহিনীর সদস্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তারা সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় যেসব যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছেন, তা উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।দুই আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ছয়টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। তার সবগুলোই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় জামায়াত নেতা খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।