বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই পোস্টার বয় – ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান দুজনই দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে জানান, অন্তত একটি ম্যাচ জেতাটাও হবে বড় অর্জন। সে অর্জনকে যে বড় করে ইতিহাস রচনা করে ফেলবে টাইগাররা সেটা তো খোদ বাংলাদেশের সমর্থদের কাছেও অবাক করা বিষয়।
গত জানুয়ারিতেই ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে পূর্ণ শক্তির ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পাবে সেটাই তো রীতিমতো বিস্ময়, আর সিরিজ জেতা তো পরের কথা। তাছাড়া এই সিরিজের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলেও কোনো জয় পায়নি টাইগাররা।
সব পরিসংখ্যানকে পেছনে ফেলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের এক কথা উড়িয়ে দিয়েই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ বাদ দিলে বাকি দুই ম্যাচে কোন প্রতিরোধ গড়তে পারেই স্বাগতিকেরা। সাকিব-তামিম-তাসকিনরা যেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেখালেন কিভাবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হয়।
বুধবার (২৩ মার্চ) সিরিজ হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা স্বীকার করে নিয়েছেন যে বাংলাদেশের কাছে তিন বিভাগেই পরাস্ত হয়েছে তার দল।
শেষ ওয়ানডের পর পুরস্কার বিতরণীতে বাভুমা বলেন, ‘আমার মতে, বাংলাদেশই ভালো ছিল। তারা দেখিয়েছে কীভাবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হবে। তারা প্রথম ওয়ানডেতে কী নিখুঁত ব্যাটিং করেছে সবাই দেখেছি। তাদের সেই একাগ্রতাটা ছিল। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে অনেক কাজ করতে হবে। এই সিরিজে আমরা পাত্তাই পাইনি।’
এমন সময় ‘ভারতকে হারাতে পারলেও বাংলাদেশকে কেন পারলেন না?’, এমন প্রশ্নের জবাবে বাভুমা জানান,‘এই প্রশ্নটি আমি নিজেও নিজেকে করছি। এই সিরিজে অবশ্যই আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমার মতে, ভারতের বিপক্ষে আমরা যে মানের ক্রিকেট খেলেছি, তা অন্য পর্যায়ের ছিল। কিন্তু এই সিরিজে আমরা তেমন ভালো ছিলাম না।’
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এখন টাইগারদের মিশন টেস্ট সিরিজ জয়ের। প্রোটিয়া টেস্ট দলে আইপিএলে খেলার কারণে রাখা হয়নি কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, কুইন্টন ডি ককদের। তাই বাংলাদেশের জন্য এটা আরও বড় সুবিধা।