২২ মার্চ থেকে প্রলম্বিত হবে দিবাভাগ, চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর পুরো পৃথিবীতেই দিন ও রাত সমান হবে। অর্থাৎ প্রতি ছয় মাস অন্তর পৃথিবীতে দিন ও রাত সমান হয়ে থাকে এবং ছয় মাস পরপর দিন ও রাত বড় ছোট হয়ে থাকে। দিন ও রাতের পরিমাণ সমান থাকার কারণে এই দিনে খুবই উজ্জ্বল সূর্যালোক থাকে। এখন থেকে উত্তর মেরুতে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে ২৪ ঘণ্টাই সূর্যালোক থাকবে। এ কারণে মধ্যরাতে দেখা যাবে সূর্যালোক। সে কারণে সুমেরু অঞ্চলের দেশগুলো নিশীথ সূর্যের (মিডনাইট সান) দেশ বলা হয়ে থাকে। উত্তর মেরুতে এখন থেকে পুরো গ্রীষ্মকালে সূর্য সব সময় দিগন্ত রেখায় অবস্থান করবে।
তবে ২১ মার্চ ও ২১ সেপ্টেম্বর দিনরাত সমান বললেও দিন ও রাত পুরোপুরি ১২ ঘণ্টায় বিভক্ত হয় না। কিছুটা এদিক-সেদিক হয়ে থাকে বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলছেন। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে দিবাভাগের পরিমাণ হবে ১২ ঘণ্টা ৬ মিনিট।ইউরোপের নেদ্যাল্যান্ডের আমস্টার্ডাম শহরে দিবাভাগ ২ মিনিট বেশি হবে। অর্থাৎ আমস্টার্ডামে দিবাভাগ ১২ ঘণ্টা ৮ মিনিট দীর্ঘ। অপর দিকে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরে নরওয়ের কয়লা খনির শহর লংজিয়ারবিয়েন দিবাভাগ রাতের চেয়ে ২৬ মিনিট বেশি দীর্ঘ হবে। অর্থাৎ এই শহরে দিন হবে ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিটে।