ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠছে রুশ ধনকুবেররা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ট ধনকুবেরদের সম্পদ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার বাইরে এই ধনকুবেরদের অন্তত ১৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ট্র্যাক করা গেছে। এরমধ্যে আছে অফশোর ব্যাং একাউন্ট, ইয়ট, ব্যাক্তিগত বিমান এবং লন্ডন, তোসকানা ও ফ্রেঞ্চ রিভেরার মতো স্থানে বিলাশবহুল বাড়ি। পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ট এমন ৩৫ অলিগার্ক এবং রুশ কর্মকর্তার সম্পদের বিবরণ পাওয়া গেছে। এই রিপোর্টের জন্য গার্ডিয়ান ‘অর্গানাইজড ক্রাইম এন্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’-এর সঙ্গে কাজ করেছে।
গত বছর রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি এই ৩৫ ব্যাক্তির নাম দিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল, এই ধনকুবের ও কর্মকর্তারা পুতিনের সহযোগী। সেই তালিকায় থাকা ব্যাক্তিদেরই বিদেশে থাকা সম্পদের হদিস বের করতে এই ‘রাশিয়ান অ্যাসেট ট্র্যাকার’ প্রজেক্ট কাজ করছে।
নাভালনির সংস্থা এরইমধ্যে পশ্চিমা সরকারগুলোর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে এই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার সবথেকে ধনী চার অলিগার্ক, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির প্রধানেরা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা, মন্ত্রীরা, রাজনৈতিক উপদেষ্টারা এবং বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নররা। মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রনেতারা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা উত্থাপন করেছেন। বৃটিশ পার্লামেন্টেও লিবারেল ডেমোক্রেট দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মুখপাত্র লায়লা মোরানও একই দাবি তুলেছেন। হাউজ অব কমনসে তিনি বলেন, পুতিনের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। কারণ তাদের মাধ্যমেই পুতিন ও তার ঘনিষ্টরা সম্পদ ধরে রেখেছে। তাই তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। আর বৃটেনকে সেটি করতেই হবে কারণ পুতিনের এই সহযোগীরা লন্ডনকেই বেছে নিয়েছে। তাদের কাছে এই শহর হচ্ছে তাদের ‘লন্ডনগ্রাদ’।