প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি তোলপাড়। এই মধ্যে তার নিজের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রায় ২৪ জন পার্লামেন্ট সদস্য বিদ্রোহ করে বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে চেয়েছেন। যদি ঘটনা তা-ই ঘটে, তাহলে ইমরান খানের ক্ষমতার ইতি ঘটবে। এ অবস্থায় আগামী ২৭ শে মার্চ গণসমাবেশ করবে পিটিআই। সেখানে মানুষের সমুদ্র দেখাতে চায় তারা। তারপরেই পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট করতে চায় সরকার।
কিন্তু বিরোধীরা এক্ষেত্রে হুমকি দিয়েছে।
শনিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সভাপতি শাহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে অনাস্থা ভোট দিতে হবে পার্লামেন্টে। যদি স্পিকার এক্ষেত্রে বিলম্ব করেন, তাহলে ২২শে মার্চ ওআইসির সম্মেলন আটকে দেবে বিরোধীরা। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেছেন, বিলাওয়াল ভুট্টো আসলে ওআইসি সম্মেলন বানচালের জন্য স্যাবোটাজ করে ভারতীয় এজেন্ডা পূরণ করছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিলাওয়ালের ওই বক্তব্য গতকাল প্রচারিত হওয়ার পর কুরেশি বলেন, পিপিপি চেয়ারম্যানের উচিত তার বক্তব্য পর্যালোচনা করা।
তিনি আরও বলেন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিপিএম) সভাপতি মাওলানা ফজলুর রেহমান এর আগে ঘোষণা দিয়েছেন লং মার্চের মাধ্যমে ওআইসির সম্মেলন বানচাল করে দেয়া হবে। পক্ষান্তরে পিপিপির নেতারা অবস্থান ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন। বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের সিনিয়র সদস্যদের প্রতি কুরেশি আহবান জানিয়েছেন। বলেছেন, বিলাওয়ালকে এটা অবহিত করতে যে, ওআইসি সম্মেলন সরকারের কোনো বিষয় নয়। এটা রাষ্ট্র ও জাতীয়তার একটি মর্যাদার বিষয়। যদি বিরোধীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সমর্থন থাকে তাহলে অনাস্থা ভোটে তাদের সফলতা নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন কুরেশি। যদি তাদের এমন সমর্থন থাকে তাহলে তো তাদের নির্ভয় থাকা উচিত। অন্য কোনো পন্থা অবলম্বনের প্রয়োজন নেই।
ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ওআইসি সম্মেলন আটকে দেয়ার বিষয়ে সাহসে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একটি টেলিভিশন চচ্যানেলে তিনি বলেছেন, ওআইসি সম্মেলন হলো জাতীয় নিরাপত্তার একটি বিষয়। এ সম্মেলনে যারা যোগ দিতে আসছেন তারা আমাদের অতিথি। তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী।