ভোজ্যতেল উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিকালে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ছিল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলে এই ভ্যাট দিতে হবে না।
এর আগে দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তেল আমদানি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা মতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হলে আমদানিতে ভ্যাট পড়বে ৫ শতাংশ। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে।
ভোজ্যতেলের দাম কমবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কি না ব্রাজিল বলতে পারবে, কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।
মন্ত্রী আরও বলেন, যার পাঁচ লিটার তেল দরকার সে ১০ লিটার কিনলে ঠেকাতে পারব না। রমজান উপলক্ষে সবাই কিনতে শুরু করলে তো বাজারে ঘাটতি দেখা দেবেই। যতটুকু কেনা দরকার ততটুকুই কিনি। সবার রান্নাঘরে তো আমরা ঢুকতে পারব না। রমজান মাসের জন্য তেল বেশি না কেনার অনুরোধ করেন তিনি।
নিত্যপণ্যে কোনো সংকট আছে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের যথেষ্ট পণ্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে। এখন দামটা কেমন হবে সেটি কথা হতে পারে। কেউ কেউ মজুদ করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। টিসিবিও এক কোটি পরিবারকে পণ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে।