মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সর্বপ্রথম ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে দমন-পীড়ন চালিয়েছিলো আমেরিকা সরকারের পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে ১৯০৯ সালের নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয় এবং ১৯১০-এ আমেরিকান সমাজতন্ত্রীদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে জার্মান প্রতিনিধিরা নারীদিবস পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে নারীদিবস উদযাপন শুরু করে এবং ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তবে যেই কর্মজীবি নারীদের মাধ্যমে নারী দিবসের শুরু সেই কর্মজীবী নারীরা এখনও তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রায়শই শিক্ষার হচ্ছে বিভিন্ন অবহেলা আর অসমতার। অনেকসময় কর্মক্ষেত্রে নারীদের শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণেই তুলনামূলক অধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আর এরূপ প্রেক্ষাপটেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে পেশাজীবি মডেল বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে দুপুর ১২ টায় এ বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে ডাক্তারের ভূমিকায় ছিলেন আমেনা আঁখি, আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন সাদিয়া জেবিন, মডেলের ভূমিকায় ছিলেন নুসরাত জাহান সায়মা, গার্মেন্টস কর্মীর ভূমিকায় ছিলেন নিশাত জাহান নিসা, শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন মুকুল আহমেদ রনি এবং সাংবাদিকের ভূমিকায় ছিলেন তানহিম রহমান। বিতর্ক অনুষ্ঠানটিতে বিতার্কিকরা নিজ নিজ পেশার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ ও নিরাপত্তার বিষশসমূহ তুলে ধরেন। ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য জহুরা জাকিয়ার সঞ্চালনায় ও ইভেন্ট ও টুর্নামেন্ট সেক্রেটারি অনিক চৌধুরী তপু এর পরিচালনায় সমগ্র বিতর্ক অনুষ্ঠানে অতিথি এবং বিচারক হিসেবে ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রণীতা দত্ত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক নুসরাত তায়েফ। ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এসকে ইজাজুর রহমান আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, নারীর মমতা সংরক্ষণে বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি সব সময় তৎপর। বিভিন্ন পেশায় অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে আজকের আজকের বিতর্ক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। অতীতের ন্যায় আগামী দিনগুলিতে নারীর সমতা সংরক্ষণে ও অধিকার আদায়ে ডিবেটিং সোসাইটি কাজ করে যাবে।