রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।
নাগরিকদের নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়ে মানবিক করিডোর খোলার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা একথা জানিয়েছে। তবে ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তার কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছেছে বলে সোমবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক ঘোষণায় একথা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন জানান, ‘তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া এবং চীন বর্তমান ব্যবস্থাকে হটিয়ে নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা প্রনয়নের কথা চিন্তা করছে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে যুদ্ধ সহায়তা দিতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, অস্ত্র, গোলাবারুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার।
সূত্র: আলজাজিরা