ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি বলেছেন, আলোচনা অথবা যুদ্ধ, যেভাবেই হোক ইউক্রেনে লক্ষ্য অর্জন করবেই রাশিয়া।
ম্যাকরনকে পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এ অভিযান চালাচ্ছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন মস্কোর দাবির জবাব না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে সামরিক অভিযান চলবে।
তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি। ইউক্রেনের দাবি, রুশ গোলাবর্ষণে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে আগুনের ওই ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।
পুতিন আরও বলেছেন, রবিবার মারিউপোল এবং ভলনোভাখা শহরে ‘যুদ্ধবিরতি’ ভেস্তে যাওয়ার কারণ হল- ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা বেসামরিক মানুষজনকে যেতে বাধা দিয়েছে। বরং এই সুযোগে তারা শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়েছে।
এর আগে রেডক্রস জানিয়েছিল, কীভাবে বেসামরিক মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে দুইপক্ষ একমত হতে না পারায় তারা কাজ শুরু করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশতম দিনে প্রবেশ করল রুশ অভিযান। মস্কোর দাবি, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। অভিযানের এই সময়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সূত্র: বিবিসি