আবারো পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখলো ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। যদিও এফএটিএফের বৈঠকে আগের তুলনায় অর্থ সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে দেশটির কার্যকরী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। এফএটিএফ, তার বিবৃতিতে বলেছে যে ২০১৮-র কর্ম পরিকল্পনা মোতাবেক এফএটিএফের দেওয়া ২৭ টি শর্তের মধ্যে ২৬ টি পূরণ করেছে ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়টি নজর রাখে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে তারা। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে পাক সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। শুক্রবার এফএটিএফের বৈঠকের পর বলা হয়েছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তানের আরও সদার্থক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই বিষয়ে নিয়মিত তদন্ত চালিয়ে যে বা যারা সন্ত্রাস মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এফএটিএফ পাকিস্তানকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিএফ তদন্ত এবং জাতিসংঘ- মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সিনিয়র নেতাদের এবং কমান্ডারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার জন্য উৎসাহিত করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে যে পাকিস্তানের ২০১৯ এপিজি মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্টের (MER) পরে চিহ্নিত ঘাটতিগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ২০২১ সালের জুনে পাকিস্তান সেই ঘাটতিগুলিকে মেটাতে নতুন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান। ২০২১ সালের জুন থেকে, পাকিস্তান তার AML/CFT শাসন ব্যবস্থার উন্নতির দিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রাসঙ্গিক সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে সাতটি অ্যাকশন আইটেমের মধ্যে ছয়টি সম্পন্ন করেছে। সন্ত্রাসে মদতকারী অর্থ পাচার আটকে এবং বাজেয়াপ্ত করে দেশের মাটিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলেছে ইমরানের দেশ । তবে এতো কিছুর পরও নতুন বছরেও ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে পারল না ইসলামাবাদ । প্রশংসা করলেও পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করার বিষয়টি আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এফএটিএফ।
সূত্র: www.geo.tv