তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় ভোজ্যতেল সহ বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম । সবজির বাজারেও কোনো সুখবর নেই। ফলে বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের পকেট ফাঁকা হয়ে গেলেও সহজে বাজারের ব্যাগ ভরছে না। গতকাল শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে গাইবান্ধার বাজারগুলোতে স্বাভাবিকভাবে ক্রেতাদের ভিড় বেশি ছিলো। প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আবার বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের বাগ্বিতণ্ডার দৃশ্য দেখা গেছে। তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে গেল, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা ক্রেতারা ১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম করে খোলা তেল কিনছেন। এ জন্য দাম বেশি রাখা হচ্ছে। বোতলজাত তেলের দাম কোম্পানি থেকে নির্ধারিত থাকায় সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম কমছে না। গত দুই তিন দিনের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, করলা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে , সজনে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে । তবে আলুর দাম বাড়েনি। তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা এদিকে প্রকারভেদে মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় ও সোনালি মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৫৫০ -৬০০ টাকা। এ ছাড়া রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা, কাতল ৩০০-৩২০ টাকা, প্রকারভেদে ছোট মাছ ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন বাজারে সবজি কিনতে আসা গাইবান্ধা ভি এইড রোডের বাসিন্দা এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাজার করতে এসে সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তবে বাজারের বিক্রেতারা বলেছেন, বাজারে সবজির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া কয়েক বিক্রেতা বলেন, রংপুরের উৎপাদিত সবজি ঢাকায় চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে সবজির দামে প্রভাব পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। পেঁয়াজ, চাল, সবজি, ভোজ্য তেল, চিনি , মসলা এভাবে চক্রাকারে একেকবার একেকটি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, যা প্রান্তিক ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।