রিয়াদ, কুষ্টিয়া থেকে-
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পলাতক পাঁচ আসামীকে আটক করেছে র্যাব-১২। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা থানাধীন চাঁদগ্রাম মৌজাস্থ চাঁদগ্রাম চরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে নির্মমভাবে হত্যা করে। দীর্ঘদিন যাবত বিরাজমান বংশগত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ মালিথা বংশের লোকজন কর্তৃক তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারী ২২ ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার-১৮, তারিখ-১৯/০২/২০২২, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত হত্যাকান্ডটি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ফলশ্রুতিতে, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাতে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে এজাহার নামীয় আসামী (১) মিন্টু মালিথা (২৮), পিতা-মৃত সোনা মালিথা, গ্রাম-চন্ডিপুর (২) রনি মালিথা (২৮), পিতা-মোঃ নজরুল মালিথা, গ্রাম-চাঁদপুর, (৩) জনি (২৮), (৪) ড্যানি (২৫), উভয় পিতা- আব্দুল হামিদ ওরফে কটা, উভয় গ্রাম-চাঁদগ্রাম, (৫) জারমান প্রামানিক (৪০), পিতা-মৃত জফো প্রামানিক, গ্রাম-চাঁদগ্রাম, সর্বথানা-ভেড়ামারা, সর্বজেলা- কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথার দেখানো জায়গা হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক হত্যাকান্ডে তাদের কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকেই গ্রেফতারকৃত মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথাকে সরাসরি হত্যা কান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখেছে এবং বাকি ৩ জন তাদেরকে হত্যা কান্ডে অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করেছে বলে জানা গেছে।
এ ধরণের অপরাধীকে গ্রেফতার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।