গণতন্ত্রের লাশ এখন কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। এরপর মাটির সঙ্গে মিশে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কোনো নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আওয়ামী লীগ করে না। কোনো বিধিনিষেধে কিছুই হয়নি এদের। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের মধ্যে এমন বোধ তৈরি হয়েছে যে, এদের কেউ কিছু করতে পারবে না। গত পরশুদিন রাত দেড়টার সময় বরগুনা উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য ইমরান হোসেন এবং গতকাল বিকাল ৫টার সময় খুলনার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। তাদের কোনো খোঁজ নেই। তাহলে তারা কোথায় থামলো?
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এই যে একটা নির্যাতন, এটা থেকে বাঁচতে ঝাঁক বেধে রাজপথে নামতে হবে।শিগগিরই আন্দোলনের ডাক আসছে। কে দেখলো বা কে দেখলো না-সেটা দেখার বিষয় না। একবারে ঝাঁক বেধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া সিইসি নুরুল হুদার বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, তার নাকি কোনো ব্যর্থতা নেই। সত্য কথা বলেছেন নুরুল হুদা তার কোনো ব্যর্থতা নেই, শুধুই সফলতা আছে। কারণ ইভিএম মেশিন কিনতে গিয়ে শত কোটি টাকার দুর্নীতি এইটাতো হুদা সাহেবের সফলতা। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যে বিশেষ বক্তব্যের আয়োজন করেছেন এবং সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচের যে দুর্নীতি হয়েছে, সেইটা তো হুদা সাহেবের সফলতা। নির্বাচন কমিশনে চাকরির নামে যে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা করেছেন, তা নুরুল হুদা সাহেবের বিশাল সফলতা। সুতরাং তার কোনো ব্যর্থতা নাই।