নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু মার্কিন কর্মকর্তা গত কয়েক দিন ধরেই বলে আসছেন, বুধবার ইউক্রেনের ওপর বিমান হামলা দিয়ে আগ্রাসন শুরু করতে পারে রাশিয়া। ১৫ ফেব্রুয়ারি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের মস্কো সফরের পরের দিনটিকেই নাকি হামলার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধরে রেখেছেন আমেরিকান ও ইউরোপীয় গোয়েন্দাদের একাংশ। কিন্তু যাদের দেশের ওপরে হামলার ভয় পাচ্ছে আমেরিকা-সহ গোটা পশ্চিমা দুনিয়া, সেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার নাম উল্লেখ না করে পশ্চিমার দেশগুলোর কাছে প্রমাণ চাইলেন।
সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় গতকয়েক দিন ধরেই কিয়েভের দূতাবাস খালি করেছে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। ইউক্রেনের সঙ্গে বিমান সেবাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কিছু দেশ। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তলানিতে ঠেকার আশঙ্কা করছেন জেলেনস্কি-সহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা। দু’দিন আগেই দেশের নাগরিকদের শান্ত থেকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছিল ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির প্রেসিডেন্টও নাগরিকদের উদ্দেশে একই বার্তা দিয়েছেন। কারও নাম না করেই জেলেনস্কি বলেছেন, “আমি জানি আমরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। আপনার বা অন্য কারও কাছে যদি সত্যিই এই তথ্য থাকে যে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবেই, তাহলে দয়া করে সেই তথ্যপ্রমাণ আমাদের দিন।”
পশ্চিমা গোয়েন্দারা বারবার দাবি করেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি পরে ইউক্রেনের কোনও সেনা অভিযানের ওপরে আচমকা হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ধরনের ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ চালিয়ে কিয়েভের ওপরে চাপ বজায় রাখতে চাইছে মস্কো।