কয়েক দিন ধরে জেলায় বেড়ে চলেছে শীতের প্রকোপ। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে টানা পাঁচ দিন ধরে উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়। জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
আজ (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। টানা চার দিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বিকেলের পর থেকে জেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে থাকে ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে সূর্যের মিষ্টি হাসির দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ থাকে না।
কনকনে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার গরিব, অসহায় ও শীতার্তরা। কনকনে শীতে অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তাদের ভাগ্যে জোটে না কিছু।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গেল জানুয়ারি মাসে ২০ দিন জেলায় সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্চগড় থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর এ জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছরও জেলার ৫ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের মতো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় কম বলে দাবি সুশীল সমাজের।
তেঁতুলিয়া উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রকেট ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। আমরা সময়মতো কাজে যেতে পারছি না। আমরা গরিব মানুষ। কাজ করে সংসার চালাই। একদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। আমাদের এই কষ্টের দিনে কেউই সহযোগিতা করে না, খবর নেয় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কয়েক দিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়