ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।শুক্রবার মধ্যরাতে ময়মনসিংহ গফরগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার পর থেকেই আসামি রিয়াদ একটি মালবাহী ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে আত্মগোপন করে। আলোচিত এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই গণধর্ষণের ঘটনার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
রিয়াদ এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে এলাকায় ১০-১০ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। তার নামে হালুয়াঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মাদক চোরাচালান মামলাও চলছে। গত ২৭শে ডিসেম্বর রাতে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন দুই স্কুলছাত্রী। পরে ২৯শে ডিসেম্বর পুলিশ নির্যাতিতদের বাড়িতে গিয়ে থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের ছেলে সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে।
এতে আরও আসামি করা হয়-কচুয়াকুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), আবদুল হামিদের ছেলে এজাহার হোসেন (২০), কাটাবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২১), তালেব হোসেনের ছেলে কাউছার (২১) দুলাল মিয়ার ছেলে আছাদুল (১৯), মাহতাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১), আবদুল মতিনের ছেলে মিজান (২২), মফিজুল ইসলামের ছেলে রুকন (২১) ও বকুল মিয়ার ছেলে মামুন (২০)।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন আদিবাসীরা। পরে শুক্রবার রাতে হালুয়াঘাট এলাকা থেকে প্রধান আসামি রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-শরিফ মিয়া, মিজানুর রহমান, মো. মিয়া হোসেন, মো. রুকন মিয়া ও আবদুল হামিদ। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ৪ জন এবং তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়