নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনাটি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
এসপি হাসানুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী গত দুই মাসে তিনবার কক্সবাজার এসেছেন। এর আগেও দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ঐ নারী। তাই বিষয়টি একটু সন্দেহজনক।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ঐ নারীর স্বামী। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে ৩ জনকে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
এরই মধ্যে ঐ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন (৩৩) নামে একজনকে আটক ও তিনজনকে শনাক্ত করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৩), মোহাম্মদ শফিক প্রকাশ গুন্ডা ওরফে শফির ছেলে ইসরাফিল হুদা জয়া। তবে অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
পুলিশ জানায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বুধবার সকালে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ঐ নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। বিকেলে তারা সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। পরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শহরের লাইট হাউজ এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেল থেকে একই রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫।