কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্ধে নেত্রকোনার আটপাড়ায় ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে শ্যালক পিয়াস মিয়া (১৯) নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত পিয়াস মিয়া চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ঘটনার দিনও তিনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং তিনি উপজেলার বানিয়াগাতী গ্রামের মৃত মজুর মিয়া ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) পিয়াস মিয়ার মৃতদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। এরআগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের জনৈক রাসেল মিয়ার (৩৫) পতিত ধান ক্ষেতে হতাহতের ঘটনায় পিয়াস মিয়া ওইদিন রাত পৌনের ৮টার দিকে মমেক হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ভগ্নিগতি উপজেলার শ্রীরামপাশা গ্রামের মৃত লালু ফকিরের ছেলে সুনু ফকির (৪৫) এবং তার স্ত্রী ও নিহতের বোন মোছা. হেনা আক্তারকে (৩০) নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় সদর হাসপাতাল থেকে ঘটনার চারঘন্টার পর রাত ১০টার দিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল।
তিনি জানান, আটক দুজন আটপাড়া থানা পুলিশের হেফাজতে নেত্রকোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো অভিযোগ পায়নি। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতের মৃতদেহ ময়মনসিংহ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে ওয়ারিশানা পাওনা নিয়ে নিহত পিয়াসের মা রুমেলা আক্তারের (৫০) সাথে মেয়ে হেনা ও জামাই সুনু ফকিরের তর্কাতর্কি বাঁধে। তাদের বাকবিতন্ডার মধ্যে মেয়ে ও জামাইয়ের সাথে শ্বাশুড়ীর (পিয়াসের মা) ধাক্কা-ধাক্কি ঘটনা ঘটে। এসময় মাকে ফিরিয়ে আনার সময় ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে পিয়াস গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত পৌনে ৮টার দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পিয়াসকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে হেনা আক্তার চিকিৎসা নিতে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পিয়াসের মৃত্যু খবর পাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে নেত্রকোনা মডেল থানার সহায়তায় আটপাড়া থানা পুলিশ নিহতের বোন ও ভগ্নিপতিকে হাসপাতাল থেকে আটক করে।