“বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. রাজিউর রহমান, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মানসুরা খানমসহ আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে আলোচনা সভায় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মানসুরা খানম বলেন, “১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইউডিএইচআর অর্থাৎ ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অফ হিউম্যান রাইটস যখন জাতিসংঘে পাশ হয় তখন কেউই এটার বিপক্ষে ছিলোনা তারমানে হলো পৃথিবীর সকল মানুষ চায় যে মানবাধিকার থাকবে এবং সবাই সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। কিন্তু আজও পৃথিবীব্যাপী প্রতিনিয়ত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এবং মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। আমরা চাই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক এবং মানুষ মানুষের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাশীল হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. রাজিউর রহমান বলেন, “আমরা যারা এখানে দাঁড়িয়েছি আমরা সবাই বিশ্ব মানবের অংশ। মানব যখন মানবিক হয় তখনই মানবতা প্রতিষ্ঠা পেয়ে থাকে। সুতরাং আজকের যে মানবাধিকারের থিমটা বা বিষয়বস্তু যেখানে সকল প্রকার বৈষম্যকে ঘুচিয়ে দিতে বলা হয়েছে। আমরা দেখেছি যে নারীর প্রতি বৈষম্য হয়, শিশুদের প্রতি বৈষম্য হয়, অসহায় মানুষের প্রতি বৈষম্য হয়, এই যে বৈষম্য গুলো হচ্ছে এটার কারণ কি, এই কারণটা যদি আমরা উদঘাটন করতে পারি এবং সমাধানে কাজ করতে পারি তাহলে এই বৈষম্য মুক্ত পৃথিবী আমরা গঠতে পারবো।”
তিনি আরও বলে, “আমরা যদি মানুষ না হতে পারি তাহলে আমাদের দ্বারা শুধু বৈষম্য সৃষ্টি হবে,বৈষম্য দূর করতে সক্ষম হবো না। সুতরাং বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে হলে আমরা সবাই সমান এই চিন্তা করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের মাঝে এক ধরনের আগুন লুকিয়ে আছে, যে আগুন দিয়ে আগামীর বিশ্বের বৈষম্য দূর করা সম্ভব।”
উল্লেখ্য,১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।