‘বিট’ বহুগুণে গুণান্বিত সবজি, যা শীতকালের সবজি হিসেবেও পরিচিত। কারো কারো পছন্দের তালিকায় এই সবজি না থাকলেও এতে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। বহু আগে থেকেই মানুষ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বিট খেয়ে আসছেন। কারণ এর রয়েছে নানাবিধ গুন। বিটে রয়েছে ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়ামসহ নানা পরিপোষক পদার্থ।
এই বিটের তরকারি, সালাদ, পরোটা বা গোলা রুটি- চাইলেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজে। বিট পিসে আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি কিংবা গোলা রুটি বানিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার। কেন শীতে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা?
আসুন জেনে নেই কারণগুলো-
* ওজন নিয়ন্ত্রণ: বিটে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য বিট খুব ভালো খাবার।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এতে রক্তনালি প্রসারিত হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: ঘরেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার
* রক্ত পরিশুদ্ধ করে: শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিট রক্তে লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়ায়। একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই।
* পুষ্টিগুণে ভরপুর: বিটরুটে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা জরুরি পুষ্টিগুণ। ফলে রোজের খাবারে বিট রাখলে তা শরীরের যত্ন নেবে।
* অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর: বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই লাল রং। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে! ফলে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।