এম এইচ রনি, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
‘মাল্টা’ পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিতি হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। উত্তরের কৃষি প্রধান এলাকা নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা।মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। এমনটাই জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা সদরের সফল মাল্টা চাষী মনিরুজ্জামান রাজু।
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামের রাজু অর্গানিক গার্ডেনের উদ্যোক্তা কৃষিবিদ মো মনিরুজ্জামান রাজু বলেন, বারি মালটা-১ এর চারা এনে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। বছরখানেকের মধ্যেই মাল্টা গাছে ফল ধরে। মৌসুমে একটা গাছে দেড় মণ থেকে দুই মণ মাল্টা ধরে। এই বাগানের মাল্টা খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবছর ৫ বিঘা জমিতে সাড়ে তিনশ’ চারা রোপণ করেছি। প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।রাজু আরো বলেন, বাগানে মাল্টার পাশাপাশি ৩০ জাতের দেশি-বিদেশি আমগাছ লাগিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি সৌদি আরবের খেজুর, ভিয়েতনাম নারিকেল,আপেল লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকতা আনারুল হক বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকদের আমরা বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন ফল বাগানের দিকে আকৃষ্ট করছি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এ ধরনের মাল্টা বাগান করার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। কেউ বাগান করতে চাইলে এখান থেকে চারা নিয়ে নতুন বাগান করতে পারবেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ বছর নীলফামারী জেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে।