দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

প্রথম ম্যাচের মতো একচেটিয়া হয়নি; শের-ই-বাংলায় ছিল ভয়-উৎকণ্ঠা আর দুই দলের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত রেশ ছিল এই লড়াইয়ের। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াই শেষে শেষ হাসি অবশ্য বাংলাদেশেরই। কিউই কাপ্তান টম ল্যাথাম পারেননি, তাই লাল সবুজের দল ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে টস জিতে নাঈম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-লিটন দাসের ব্যাটে নিউ জিল্যান্ডকে ১৪২ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। যা সর্বশেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। চলতি সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মিলিয়ে আগের ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিল ১৩১ রান, যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল। টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে কিউইরা ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ১৩৭ রানে। একাই লড়েছিলেন ল্যাথাম। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা কিউই অধিনায়ক ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন স্বাগতিকদের মনে। তবে ১৯তম ওভারে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ঠিকঠাক মতো রানআউট করতে পারলে হয়তো শেষ বল পর্যন্ত লড়াই হতো না। বাংলাদেশের জয় আরও বড় ব্যবধানে হতো। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে স্বাগতিক শিবির।

ল্যাথাম ৪৯ বলে ৬৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন লাথাম। তার সঙ্গে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ম্যাককনচি। ২২ রান করেন উইল ইয়াং। এছাড়া রাচিন রবীন্দ্রের ১০ রান ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। এতেই বোঝা যায় লড়াইটা চালিয়ে যান অধিনায়ক হয়ে বাংলাদেশে আসা ল্যাথাম।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান। আর মাত্র একটি উইকেট নিলেই সাকিব যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির মালিক হবেন। ১০৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। আগামী ম্যাচেই সাকিব পেরিয়ে যেতে পারেন মালিঙ্গাকে। দুই পেসার মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন ছিলেন উইকেট শূন্য। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৪ ও সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩৬ রান দেন কোনো উইকেট না নিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজসহ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে দুই ওপেনার লিটন ও নাঈমের ব্যাটে এই ম্যাচে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। এর আগের ৬ টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছিল ৪২টি। এবার সেটা টপকে হয় ৫৯। বাইরের বল টেনে মারতে গিয়ে ৩৩ রানে ফেরেন লিটন।

দারুণ শুরুর পর যেন হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে এসে পরের বলেই শূন্য মেরে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। এরপর ক্রিজে এসে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১২ রান। একে একে ফেরেন লিটন-মুশফিক-সাকিব। ৫৯ রানে পতন ঘটে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের। এরপর স্কোরবোর্ডে ১৩ রান না যোগ হতেই আরও ২ উইকেট পড়ে যায়।

পরপর তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে মাহমুদউল্লাহ-নাঈমের ব্যাটে। এক্সট্রা কাভার ও মিড অফের মাঝে দিয়ে মাহমুদউল্লাহর দারুণ চারে বাংলাদেশ তিন অঙ্কের ঘর পার করে ৮৯ বলে। ৩৯ বলে ৩৯ রান করে নাঈম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। আফিফের আউটের পরও রানের চাকা থামেনি।

মাহমুদউল্লাহ-সোহান ২২ বলে ৩২ রানের জুটি গড়ে টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। ৯ বলে ১৩ রান করে শেষ বলে আউট হন সোহান। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version