মো: হাবিবুর রহমান, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৭নং লোহাগড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কামঠানা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান মোল্যার(৮০)ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব পিতার স্বপ্ন পুরন করেছেন। পিতার মো. হাবিবুর রহমান মোল্যার স্বপ্ন ছিল আমার ছেলে মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকুরি বা ব্যবসা করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অসহায় গরিব মানুষের সেবা করবে। আমার সন্তান ব্যবসা করে এখন সে প্রতিষ্ঠিত। এতে আমার স্বপ্ন পুরণ হলো। আমার ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সময় নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে থাকেন।আমার সাত ছেলে ও চার মেয়ে।এর মধ্যে মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব দ্বিতীয় সন্তান। আমার সন্তানেরা সকলেই প্রতিষ্ঠিত। কামঠানা গ্রামের সমাজ সেবক মো. হায়দার বলেন, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব আমাদের গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সময় নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী দেন এবং অভাবি মানুষের পাশে সবসময় আছেন।গ্রামের যুবক ছেলেদের খেলাধুলা থেকে শুরু করে ভাল কাজের সহযোগিতা করেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মো. হাবিবুর রহমান মোল্যা (৮০) গ্রামের বাড়ি উপজেলার কামঠানায় শারিরীক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মেজো ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব পিতার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে ঢাকা ইউনিভারসল হসপিটালে ভর্তি করেন। তিনি সুস্থ্য হলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ছেলেকে। ছেলে তখনই জিজ্ঞাসা করেন বাবা আপনি কিসে বা কিভাবে গ্রামের বাড়িতে যেতে চান্।তখন বৃদ্ধ পিতা মো. হাবিবুর রহমান মোল্যা বলেন, আমার বৃদ্ধ বয়সে একটা স্বপ্ন আমি হেলিকাপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে চায়।তখন ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব পিতার স্বপ্ন পুরন করার লক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে গ্রামের বাড়ি উপজেলার কামঠানা গ্রামের ফুটবল মাঠে অবতরন করেন মো. হাবিবুর রহমান মোল্যা, তার মেজো ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব ও পরিবারের সদস্যরা।
সেখানে হাজার হাজার নারী পুরুষে উপস্থিতিতে মো. হাবিবুর রহমান মোল্যাকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় তিনি বলেন, আমি সুস্থ হয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে এই বৃদ্ধ বয়সে জন্মভুমিতে আসতে পেরে খুসি ও আনন্দীত। এটায় আমার স্বপ্ন ছিল এস্বপ্নটা আমার মেজো ছেলে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বিপ্লব পুরন করলো। আমার জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। এসময় গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, আমি আমার বাবার স্বপ্ন পুরন করতে পেরে খুব আনন্দিত।মা-বাবা আমাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নেয়ামত। মা-বাবা ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা যায় না। যদি মা-বাবার ভালোবাসার দৃষ্টি না পড়ত, তাহলে এ পৃথিবী থাকত মায়া-মমতাহীন। মা-বাবার কারণেই আমরা এ সুন্দর পৃথিবীর মুখ দেখতে পারছি। খেয়ে-দেয়ে-ঘুমাই, মনের সুখে ঘুরে বেড়াই, পড়াশোনা ও চাকরিবাকরি করে জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখি। পৃথিবীতে যে দুজন মানুষ আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, তারা হলেন প্রিয় মা-বাবা। আমাদের প্রতি মা-বাবার দয়া-ভালোবাসার কথা বলে শেষ করা যাবে না। মা যেমন সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে আমাদের পেটে ধারণ করেন, জন্ম দেন, দুধ পান করান এবং লালন-পালনের অতুলনীয় দায়িত্ব পালন করেন, তেমনি বাবাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের বেঁচে থাকার সব উপকরণের ব্যবস্থা করেন।
আমাদের ভবিষ্যৎ-চিন্তায় অত্যধিক অধীর থাকেন মা-বাবা। আমাদের বিপদাপদে, অসুখ-বিসুখে ছায়ার মতো কাছে থাকেন তারা। মায়ের আঁচলে-আদরে, বাবার স্নেহের চাদরে আশ্রয় নিয়ে মুক্তি পাই বিপদাপদ থেকে, সুস্থ হয়ে উঠি অসুখ-বিসুখ থেকে। মা-বাবাহীন ঘর শূন্য মরুভূমি। যাদের মা-বাবা বেঁচে নেই, শুধু তারাই বোঝে মা-বাবা কী জিনিস। আমরা কখনও মা-বাবার অবাধ্য হব না, তাদের মনে কষ্ট দেব না। আমরা সবাই মা বাবাকে সেবাযত্ন করবো এবং মা বাবার স্বপ্ন পুরণ করবো