আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার পরিবারকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এদিকে দেশের সাধারণ মানুষকে চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ফেলে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে গিয়েছেন অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আফগানিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদী।
প্রেসিডেন্ট গনি দেশ ছেড়ে পালাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা দখল অনেকটাই সহজ হয়ে যায় তালেবানদের। যা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদী। বুধবার টুইট করে তিনি লিখেছেন, ”যারা নিজের দেশকে নিয়ে ব্যবসা করে এবং মাতৃভূমিকে বিক্রি করে দেয় তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। ওই সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা উচিত।” পোস্টে হ্যশট্যাগ দিয়ে মোহাম্মদী লিখেছেন, “গনিকে গ্রেফতার করুক ইন্টারপোল”।
গত ১৫ আগস্ট (রবিবার) তালেবান যখন কাবুলের প্রবেশ পথগুলোতে পৌঁছে যায় তখন আশরাফ গনি নগরীর বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। তার সঙ্গে দেশত্যাগ করেন গনির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিব ও প্রভাবশালী স্থানীয় সরকার প্রশাসন মন্ত্রী ফজল মোহাম্মাদ ফাজলি। তখন থেকে আশরাফ গনি ও তার সফরসঙ্গীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রথমে তিনি তাজিকিস্তানে গেছেন বলে খবর বের হলেও তাজিক সরকার সে খবরের সত্যতা অস্বীকার করে। এরপর খবর আসে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট উজবেকিস্তান হয়ে ওমান চলে গেছেন। কিন্তু পরে সে খবরের সত্যতাও নিশ্চিত করা যায়নি। এ অবস্থায় আশরাফ গনির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার শেষবেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মানবিক কারণে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানানো হয়েছে।’ তবে এ বিবৃতিতে তার সফরসঙ্গীদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।