মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলার চর কালিকাপুরে যৌতুকের টাকার জন্য ইভা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ইভা বেগম চর কালিকাপুরের তাল্লুক এলাকার মোহাম্মদ আলী ফকিরের মেয়ে।
ইভার স্বজনদের অভিযোগ, ইভা ১ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করে একই এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে রিয়াজ বেপারীকে (২১)। বিয়ের ৬ মাস হতে না হতেই যৌতুকের টাকার জন্য ইভাকে প্রায় মারধর করতো। অনেকবার টাকা দিয়েও ছেলের পরিবারকে খুশি করতে পারে নি। সর্বশেষ ইভার পরিবারের কাছে যৌতুকের জন্য নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্নালংকার দাবী করে রিয়াজ ও তার পরিবার । যৌতুকের টাকা ও স্বর্নালংকার না পেয়ে গত ৭ ই আগস্ট (শনিবার) সকাল ৭ টার দিকে ইভাকে কোমলপানীয়ের সাথে কিটনাশক খাইয়ে অচেতন অবস্থায় মেয়ের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। অবস্থার একটু উন্নতি ঘটলে ৯ই আগস্ট সোমবার ইভার স্বামীর পরিবার এসে ইভাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পর ইভার অবস্থা আবার খারাপ হতে থাকে, পরে ইভার স্বামীর পরিবার আবার তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইভাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি জন্য পাঠিয়ে দেয়। বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় গত ১৬ ই আগস্ট ( সোমবার) সকাল ১০ টার দিকে ইভা মারা যায়। ইভার স্বামী রিয়াজ ও তার পরিবার ইভার বাসার সামনে ইভার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইভার পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ইভার ফুফু সাজমা বেগম বলেন, ৪ লাখ টাকা আর ৪ ভরি সোনার জন্য মাইয়াডারে মেরে ফেললো রিয়াজ আর তার পরিবার। আর জেনো কোনো পরিবারের কাউর মেয়ে এভাবে মারা না যায়। আমরা আমাগো মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমাদের আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।