দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

বাড়ির মধ্যে মানুষ মরে পরে আছে কিন্তু কেউ সেই মরদেহ ছুয়ে দেখছে না। এমন মরদেহ উদ্ধার করেন তৌফিক হিদায়াত। তিনি প্রায় এক ডজন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে কাজ করেন যারা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে এই কাজ করেন। তাদেরকে মৃতের পরিবার ফোন করে নিয়ে আসে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের সবথেকে বড় কোভিড হট¯পট। তৌফিক বলেন, আমাদেরকে সরু গলি কিংবা বহুতল ভবন থেকে মরদেহ নিয়ে আসতে হয়। এই কাজগুলো অনেক কঠিন এবং আমাদের বিশেষ পোশাকের কারণে সারাক্ষণ গরমের মধ্যে থাকতে হয়।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে ইন্দোনেশিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

কিন্তু এখনও দেশটিতে বিভিন্ন বাড়িতে কোভিডে মৃতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটির হাসপাতাল ও আইসোলেশন কেন্দ্রগুলোতে এখন যথেষ্ট স্থান ফাকা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই হাজার হাজার শয্যা বাদ দিয়ে মানুষ বাড়িতেই অপেক্ষা করছে। এই মাসের প্রথম ১৩ দিনে প্রায় ৫০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই প্রাণ হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। বেশিরভাগ এমন মৃত্যু ছিল জাকার্তাতেই। কারণ একমাত্র এখানেই স্থানীয় সক্রার বাড়িতে মৃত্যুর বিষয়টি গণনা করছে।
তবে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যেসব রোগী বাড়িতে প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের হিসাব রাখা হয়না। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিটি নাদিয়া তারমিজি বলেন, মানুষ যখন হালকা উপসর্গে আক্রান্ত হন তখন তারা বাড়িতে থাকতে পারেন। তবে ইন্দোনেশিয়ার মেডিক্যাল এসোসিয়েশন এখন বলছে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকলে রোগীর মেডিক্যাল সুবিধা গ্রহণের সুযোগ কমে যায়। একইসঙ্গে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ না করতে পারায় কোভিড আরও বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।
গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় মহাদুর্যোগের মতো আক্রমণ করে কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দ্রুতই দেশটির হাসপাতালগুলোর ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যায়। তখন কোভিড আক্রান্তদের বলা হয় বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে। কিন্তু যখন অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে তখনও তারা হাসপাতালে ফাঁকা কোনো শয্যা পাচ্ছিলেন না। ওয়ারসা টিরতা নামের এক ড্রাইভার জুন মাসে কোভিড আক্রান্ত হলে তাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দ্রুতই দেখা গেলো তার মা ও দুই বোনও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তিন জনের অবস্থাই দ্রুত খারাপ হয়ে গেলে তারা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষতা করেন। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র একজনকে ভর্তি করতে রাজি হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে এক বোনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৬ জুলাই ওই ড্রাইভার বাড়িতে থেকেই মারা যান। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফোন করে জানালেও কেউ তার মরদেহ নিতে আসেনি। তখন তৌফিক হিদায়াতের সেচ্ছাসেবীদের দল এসে তার মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে।
ইন্দোনেশিয়ায় যখন কোভিড ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন সরকার নতুন করে হাসপাতাল ও আইসোলেশন কেন্দ্র নির্মান করে। কিন্তু এগুলো এখন ফাঁকা পরে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও ৩০ হাজার রোগীর জন্য যথেষ্ট শয্যা ফাঁকা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। কিন্তু তারপরেও মানুষ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতে থাকাই বেছে নিচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডায়েং ফাকিহ বলেন, আমরা সরকারের স্বাস্থ্যনীতিতে পরিবর্তন আনতে বলেছি। বাড়িতে আইসোলেশনের যে পদ্ধতি রয়েছে সেটি বাতিলে জনগণকে উৎসাহিত করা দরকার। আইসোলেশন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কেন্দ্রেই হওয়া উচিত। বাড়িতে আইসোলেশন আরও মানুষকে কোভিড আক্রান্ত করছে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version