ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইবরাহিম রায়িসি বলেছেন, ইসরায়েলের বর্বরতার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেওয়া তেহরান ও আঙ্কারার অবিচ্ছেদ্য যৌথ এজেন্ডা।
বুধবার সন্ধ্যায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপের সময় এ কথা বলেন রায়িসি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট রায়িসিকে ফোন করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে অসহায় ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সহযোগিতার বিষয়টি এই যৌথ এজেন্ডা থেকে কখনও মুছে যাবে না।
মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, তেহরান ও আঙ্কারার মধ্যকার সহযোগিতা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক সুবিধা বয়ে আনতে পারে। এতে মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নতি, শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও লাভ হবে।
তিনি ইরান এবং তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক প্রতিবেশীর সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেন।
ইবরাহিম রায়িসি বলেন, “ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য জরুরি। আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ও বন্ধুদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।”
ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রায়িসিকে আবারও অভিনন্দন জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি আশা করেন, প্রেসিডেন্ট রায়িসির আমলে তুরস্কের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও বেশি জোরালো হবে।
তুরস্কের সাম্প্রতিক দাবানল নেভানোর ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যে সহযোগিতা করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
তিনি আশা করেন ইরান এবং তুরস্কের যৌথ কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য গঠিত সুপ্রিম জয়েন্ট কোঅপারেশন কাউন্সিলের বৈঠক শিগগিরি তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ইরানের রাজধানীতে প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।