দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

দেশে করোনার টিকাদান কেন্দ্র অচিরেই আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এই তথ্য জানান।

আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশে গ্রামাঞ্চলেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকাদান কেন্দ্র বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন এবং গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে যখন টিকা দেয়ার সংখ্যা বেড়ে যাবে তখন টিকা দেয়ার জনসংখ্যা (টিকা গ্রহীতা) অনেক বেড়ে যাবে। আমরা চাচ্ছি, হাসপাতাল থেকে টিকা কেন্দ্র বের করে নিয়ে আসতে।

হাসপাতালগুলোকে টিকাদান কেন্দ্র করার কারণ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এতদিন ধরে যে বড় ভয় ছিল, টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপতিক্রিয়া হয় কিনা-যার জন্য ইমিডিয়েট হাসপাতাল সার্পোট লাগবে, কিন্তু আমরা দেখলাম গত কয়েক মাসে টিকা দেয়ার পর সে রকম মেজর কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর সে ক্ষেত্রে যদি হাসপাতালগুলোকে ফ্রি না করি তাহলে প্রতিটি হাসপাতালেই স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে আনলেই টিকাকেন্দ্র বেড়ে যাবে। আর কেন্দ্র কেন্দ্র বাড়লেই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারবো।

 

গ্রামাঞ্চলে স্কুল-কলেজ-কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক আর ঢাকার ভেতরে মেডিকেল কলেজগুলোতে দিয়ে দিতে চাই জানিয়ে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, কলেজ বিল্ডিংগুলোতে হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফার করতে চাচ্ছি। আর গ্রামাঞ্চলে টিকাদানের বিষয়ে ইতিমধ্যেই মাইক্রো প্ল্যান হয়ে গেছে, প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই আগামী ৭ আগস্ট থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কেন্দ্র যেভাবে টিকা দেয় সেভাবেই টিকা দেয়া হবে।

আগামীকাল থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেবার নির্ধারিত তিনমাস অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু এখন টিকা দেয়া হলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কেনা প্রশ্নে তিনি বলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে, অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার বেলায় গ্যাপটা বেশি হলে অ্যান্টিবডি টাইটার বাড়ে, তার মানে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে তিনমাস খুব বেশি গ্যাপ না। আমরা আশা করছি, এতে কোনও ক্ষতি হবে না।

প্রসূতি মায়েদের টিকা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হচ্ছে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, প্রসূতি মায়েদের টিকার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তবে আমরা টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ) নাইট্যাগগের মতামতের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের মতামত এখনও আমি আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি।

প্রসূতি মায়েদের টিকা দেবার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ইতিমধ্যেই (অবসট্রাক্টিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ) ওজিএসবি আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে প্রসূতিদের টিকা দেবার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছেন। আমরাও রাজী। তবে আমরাতো একা সিদ্ধান্ত নেব না। জাতীয়ভাবে যখন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে, তখনই এটা শুরু করা হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version