লকডাউনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) স্টিকার লাগিয়ে মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ শিক্ষা বোর্ড অফিসের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মোটরসাইকেলের ওই চালকের বাদানুবাদ হলে শেষ পর্যন্ত ওই স্টিকার উঠিয়ে ফেলেন তিনি। শনিবার এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গোলাপ আহম্মেদ বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে কিছু ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে মাওয়াসহ বিভিন্ন দূরদূরান্তের যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিলো। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্টিকার লাগানো দেখে তার পরিচয় জানতে চান তিনিসহ স্থানীয় অন্যান্যরা। এ সময় সিটি করপোরেশনের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলের চালক তার নাম রানা এবং তিনি সিটি করপোরেশনের কর্মচারী বলে তাদের জানায়। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে রানা পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি নন, তার চাচা সিটি করপোরেশনের কর্মচারী। এ সময় তিনি নিজেই তার মোটরসাইকেলে লাগানো স্টিকার উঠিয়ে ফেলেন।
নগরীর কাউনিয়া বিসিক এলাকার বাসিন্দা মো. রানা বলেন, তার চাচা সিটি করপোরেশনে চাকরি করে। রাস্তাঘাটে পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে মোটরসাইকেলে সিটি করপোরেশনের স্টিকার লাগিয়েছিলেন। ভুল বুঝতে পেরে ওই স্টিকার নিজেই উঠিয়ে ফেলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, আইনে আছে সিটি করপোরেশনের ক্রয়কৃত গাড়ি না হলে সেই গাড়িতে প্রতিষ্ঠানের (বিসিসি) স্টিকার লাগানো যাবে না। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ব্যক্তিগত গাড়ি হলেও এই স্টিকার লাগানো আইনের লঙ্ঘন।