আবদুল হান্নান, ভোলা:
কোরবানির ঈদ ঘিরে ভোলায় জমতে শুরু করেছে পশুর হাট।
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে কেনাবেচার নির্দেশনা দিলেও কোনো হাটেই তা মানা হচ্ছে না।
সংক্রমণের শঙ্কা থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
ভোলার সদরের ইলিশারহাট গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও বিদেশি বড় আকৃতির গরু যেমন উঠেছে তেমনি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুও উঠেছে।
কিন্তু সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে কেনাবেচা।
কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা জেনেও পরেন না মাস্ক।
কারও কারও কাছে মাস্ক দেখা গেলেও তা ঝুলছিল থুতনিতে। ইজারাদাররা হাটে প্রবেশের সময় মাইকিং করে সবাইকে মাস্ক পড়তে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় চলার অনুরোধ করলেও অনেকেই তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দূরত্ব বজায় না রেখে শরীরে শরীর ঘেঁষে করছেন পশু বেচাকেনা।
গরু কিনতে আসা কয়েকজন জানান, মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর বাজারে এসেছি কোরবানির গরু ক্রয় করতে। কিন্তু এখানে স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না। করোনা নিয়ে কারও ভীতি নেই। পশুর হাটে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
কালুপুর গ্রামের আলতাফ বেপারী জানান, আমরা মাস্ক পরেই বাজারে গরু ক্রয় করতে এসেছি। কিন্তু বাজারে এসে দেখি অনেক ক্রেতার মুখেই মাস্ক নেই।
আবার অনেক ক্রেতা মাস্ক ছাড়াই এসেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভোলা-ইলিশা সড়ক সংলগ্ন ইলিশারহাটে তিল পরিমাণ জায়গা নেই।
হাটে হাজার হাজার গরু-ছাগলের সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা সংখ্যা অনেক কম।
চর আনন্দ গ্রাম থেকে হাটে গরু নিয়ে আসা কৃষক হাসমত আলী জানান, অনেক দূর থেকে থেকে সকাল ১০টায় দুইটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি। কোনো ক্রেতা এসে দামও বলেননি। একই অবস্থা জানান ইলিশার হাটে গরু নিয়ে আসা কৃষক মনোয়ার আলীও।
তবে অনেকে এসেছে শুধু কোরবানির গরুরহাট দেখতে।